Tuesday, July 21, 2020

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য শ্রী সরস্বতী মন্ত্র ও টোটকা

(কামরূপ-কামাখ্যায় একজন বৃদ্ধ সাধু মানুষের থেকে শোনা)
আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করবো,  'ভারতীয় জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে' ছাত্রদের বিভিন্ন শিক্ষা সংক্রান্ত মূল্যবান  তথ্য গুলো। এখানে লিপিবদ্ধ করে দিলাম।

  • প্রাথমিক শিক্ষামূলক (উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত) পড়াশুনার ক্ষেত্রে পড়াশুনার ঘরের মধ্যে সর্বদা উত্তর দিক কিংবা উত্তর-পূর্ব কোণের (ঈশান কোণ) দিকে মুখ করে বসা উচিৎ, তবে উত্তর-পূর্ব কোণটাই গুরুত্বপূর্ণ।
  • পড়াশুনার ঘর সর্বদা সবুজ রঙ করা প্রয়োজন কারন সবুজ রঙ বুধ গ্রহের রঙ আর এই রঙ থেকে আমাদের সবচেয়ে বেশী মনঃসংযোগ বাড়ে।
  • পড়াশুনা করতে হলে সবসময় চেয়ার-টেবিল ব্যবহার করে তাতে বসে পড়াশুনা করা উচিৎ এবং তার সাথে যদি পাশে সাদা রঙের একটা টেবিল ল্যাম্প থাকে তাহলে সেটা শুভফলদায়ক।
  • উচ্চতর শিক্ষামূলক পড়াশুনা (উচ্চমাধ্যমিকের পরবর্তী শিক্ষা কিংবা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কিংবা কোনো টেকনোলজি কিংবা গবেষণা সংক্রান্ত শিক্ষা) উচ্চতর শিক্ষামূলক পড়াশুনার ক্ষেত্রে সর্বদা দক্ষিন-পূর্ব কোণ (অগ্নি কোণ) বরাবর মুখ করে প্রতিদিন পড়াশুনা করতে হবে।
  • উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে আপনার জন্ম কুন্ডলী (Horoscope) অনুযায়ী যে দিক শুভ, বাড়ীর সেই দিকের ঘরে পড়াশুনা করা উচিৎ। উচ্চতর শিক্ষার ক্ষেত্রেও পড়াশুনার ঘরের রঙ সবুজ করতে হবে।
  • গবেষনা মূলক কিংবা টেকনোলজি শিক্ষার ক্ষেত্রে নীল, গোলাপী ইত্যাদি রঙও করা যেতে পারে।
  • পড়াশুনার ঘরে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যে একটি করে চন্দনের ধুপ জ্বালানো উচিৎ কারন একমাত্র চন্দনের ধূপের মধ্যে মনঃসংযোগ করার অধিক ক্ষমতা আছে।
  • আপনাদের বাড়ীর মধ্যে যদি একটা গ্লোব রাখতে পারেন তাহলে এটা সেই বাড়ীর শিক্ষার্থীদের উপর শুভ প্রভাব ফেলতে বাধ্য।
  • আপনাদের শোবার ঘরে যেদিকে আপনি মাথা রেখে ঘুমান সেই দিকে আমাদের দেশের একটা বড় আকৃতির কাগজের ম্যাপ (Map) বা মানচিত্র দেওয়ালে পেরেক দিয়ে কিংবা আঠা লাগিয়ে শুধু টাঙিয়ে রাখবেন, এতে আশাকরি আপনাদের বাচ্চার মনঃসংযোগ অবশ্যই বৃদ্ধি পাবে।
  • যেসব ছাত্ররা উচ্চতর শিক্ষামূলক পড়াশুনা করছেন তারা তাদের পড়ার টেবিলে একটি পরিস্কার কাঁচের গ্লাসে চারটি সবুজ রঙের (মাথা ছোলা) পেন্সিল নিয়ে সেগুলিকে একটি সবুজ সুতো দিয়ে ৩ প্যাঁচে বেঁধে পেন্সিল গুলোর ছোলা দিকটা উপরের দিকে করে কাঁচের গ্লাসে রেখে দিন এবং সেই পেন্সিল সমেত গ্লাসটি পড়ার টেবিলে রেখে দিন, এতে আশা করি আপনাদের পড়াশুনার প্রতি মনঃসংযোগ বৃদ্ধি পাবে.. আর এই কাজটি করতে হবে শুক্ল পক্ষ্যের মধ্যে শুক্রবার।
  • আপনাদের বাচ্চার পড়ার বই গুলোর মধ্যে শুক্লপক্ষের শনিবার একটি করে লবঙ্গ প্রতিটি বইয়ের মধ্যে রেখে দিন এতে ছাত্রের পড়ায় মনঃসংযোগ বাড়বে।
  • পরীক্ষার সময় যদি আপনারা আপনাদের বাচ্চার হাতের অনামিকা আঙ্গুল (Ring Finger) দিয়ে টক দইয়ের ফোটা কিংবা হনুমানজীর মন্দিরে গিয়ে তাঁর ডান কাঁধের থেকে কিছুটা মেটে সিন্দুর অনামিকা আঙ্গুল (Ring Finger) দিয়ে কপালে এবং গলায় তিলক দিয়ে তারপর পরীক্ষা দিতে যায় তাহলে পরীক্ষাকেন্দ্রে আপনার বাচ্চা মনঃসংযোগ সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারবে।
  • আপনাদের বাড়ীর শৌচালয় ঘরের (Toilet Room) পাশে অথবা শৌচালয় ঘরের দেওয়ালের সাথে সংযুক্ত কোনো ঘরে পড়াশুনা করা উচিৎ নয়।
  • আপনাদের বাড়ীর শোওয়ার বিছানার উপর বসে পড়াশুনা করা কখনোও উচিৎ নয়, এটা ভারতীয় বাস্তুমতে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ, তবে এই বাস্তুদোষের জন্য হয়তো প্রথম প্রথম আপনারা আপনাদের পড়াশুনার ক্ষেত্রে বাস্তুর কুপ্রভাব বুঝতে নাও পারেন কিন্তু পরবর্তীকালে উচ্চ শিক্ষার সময় ৯৯% নিশ্চিতভাবে অবশ্যই আপনারা কুপ্রভাব আপনাদের বাচ্চার পড়াশুনার ক্ষেত্রে পাবেন।

অবশ্য করে মনে রাখবেন ,পড়াশুনা করার প্রতি মনঃসংযোগ বাড়ানোর উপায় নিয়ে এতক্ষন যে আলোচনা করলাম, এই পড়াশুনা, কে কতটা ভালোবেসে করবে সেটা পুরোটাই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার, একজন ছাত্র সে নিজে থেকে কতটা পড়াশুনাকে ভালোবাসবে সেটা ব্যক্তিগত জন্ম-কুন্ডলী দেখে বিচার করতে হয়। কোনো ছাত্র যদি নিজে বা পরিবার থেকে তার মধ্যে পড়াশুনার প্রতি ভালোবাসা না থাকে তাহলে কিন্তু সেই ক্ষেত্রে আমার এই তথ্য কিংবা আমি তার কাছে দায়ী থাকব না।
এবার পড়াশুনায় খুব ভালো ফল করবার জন্য শ্রী সরস্বতী মন্ত্র নিয়ে বলছি। দীপাবলীর আগের দিন, দীপাবলীর দিন, দীপাবলীর পরের দিন – এই তিনদিন (অথবা যে কোনও পূর্ণিমার দিন, তার আগের দিন ও তার পরের দিন) উত্তর দিকে মুখ করে সাদা বস্ত্র পরে, সাদা আসনে, সাদা মালা পরে, স্ফটিক মালায় প্রতিদিন ৪০০০ করে মোট ১২০০০ বার নীচে লেখা সরস্বতী মন্ত্র জপ করতে হবে। সামনে শ্রী সরস্বতী দেবীর মুর্তি বা ছবি (সরস্বতী ধারণ যন্ত্র) রাখতে হবে। এর ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি হয়ে পড়াশুনা মনে থাকবে। এর সাথে সাথে একটি চারমুখী রুদ্রাক্ষ, একটি পান্না ও সরস্বতী কবচ্ ধারণেও পড়াশুনায় ভালো ফল পাওয়া যাবে। মনে রাখতে হবে -- পাথর, কবচ্, শিকড় ইত্যাদি সাহায্যকারীর ভুমিকা পালন করে মাত্র, পড়াশুনায় আরও ভালো ফল করায় মাত্র, পাশ করায় না।
.
শ্রী সরস্বতী মন্ত্র ---- ও শ্রীং হ্রীং ... বাগ্বাদিনী ভগবতী অর্হনমুখনিবাসিনী সরস্বতী মমাংসে প্রকাশং কুরু স্বাহা

শিব রাম নাম করেন তাহলে শিব কি রামের থেকে ছোট?

 সম্প্রতি রামায়েতদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রচুর রামায়েতের দেখা পাওয়া যাচ্ছে যারা শ্রীরাম চন্দ্রকে উপরে তুলতে গিয়ে পরমেশ্বর শিবকে ছোট করছেন...

Popular Posts