Monday, October 30, 2017

জ্যোতিষশাস্ত্রের ২৭ নক্ষত্র








ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্রের সম্পূর্ণ রাশিচক্রে মোট ২৭টা নক্ষত্র আাছে। জাতক/জাতিকার জন্মসময়ে চন্দ্র যে নক্ষত্রে বিচরণ করে সেই নক্ষত্র অনুযায়ী জন্ম নক্ষত্র ফল ---
১। অশ্বিনী - অশ্বিনী নক্ষত্রের অধকর্তা কেতু। এই নক্ষত্রে জন্ম জাতকহয় বুদ্ধিমান, মেধাবী,তীক্ষ্ম বুদ্ধিসম্পন্ন এবং নিজের চেষ্টায় জীবনে উন্নতি করে। প্রথম জীবনে বিদ্যা লাভ হয়। মধ্যবর্তী জীবনে কিছু কষ্টে ও ব্যায়ের মধ্যে দিয়ে ভাল বসতি করে। কর্ম ক্ষেত্র শুভ হয়। অনেকে তাকে মান্য করে নেতৃত্ব করতে পারে। আত্মীয় স্বজনদের জন্য চিন্তা থাকে। সন্তান প্রায়ই প্রতিষ্ঠিত হয়। দাম্পত্যক্ষেত্র মধ্যম। জীবনে মাঝে মাঝে হঠাৎ উন্নতি আসে। মাঝ বয়েসে বা শেষ বয়েসে কয়েক বছর ব্যায়বাহূল্যে কিছুটা কষ্টপেতেও পারে। শুভবর্ষ - ৭, ১৬, ২৫, ৩৪, ৪৩, ৫২, ৬১, ৭০
২। ভরণী– ভরনী নক্ষত্রের অধিকর্তা শুক্র। এদের জীবনে শুভাশুভ মিশ্র ভাব এ কাটে। এরা পরিশমী কমহয়, তবে মেধা খাটিয়ে কর্ম পরিচালনা দ্বারা জীবনে উন্নতি করিতে পারে। জীবনে সুযোগ মন্দ পায়না। জীবনের প্রথম দিকে অশুভভাবে কাটে। মধ্য বয়েস থেকে শুভ ভাব চলে। তখন অর্থ সঞ্চয় করলে শেষ জীবন সুখে কাটে। অর্থ বেশী অপচয় করলে বেশী বয়েসে আর্থিক দূশ্চিন্তায় ভোগে। দাম্পত্য জীবন বেশী সুখের নয়। শুভবর্ষ- ৬, ১৫, ২৪, ৩৩, ৪২, ৫১, ৬০, ৬৯,
৩। কৃত্তিকা- কৃত্তিকা নক্ষত্রের অধিকর্তা রবি। এরা যথেষ্ঠ পরিশ্রমী হয়। স্পষ্ট সত্যকথা বলতে ভালো বাসে।এদের জীবনে মাঝে মাঝেই বাধাবিঘ্ন আসে। অনেকেই এদের ভুল বোঝে। জীবনে অনেক বাধা বিঘ্ন আসলেও শ্রম দ্বারা এরা উন্নতি করতে সফল হয়। মাঝে মাঝে পাড়া প্রতিবেশী বা আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে বিবাদ হতে পারে অন্যের প্রতি ভাল কাজ করলেও যশ বা প্রতিদান কম পায়। দাম্পত্যক্ষেত্র মোটামুটি শুভ। শুভবর্ষ- ১৯, ২৮, ৩৭, ৪৬, ৫৫, ৬৪, ৭৩,
৪। রোহিনী- রোহিনী নক্ষত্রের অধিকর্তা চন্দ্র। চন্দ্রের প্রকৃতি কিছুটা এদের মধ্যে থাকে। এরা শান্তিপ্রিয় এবং সবকিছু সমস্যার সমাধান ধীরে ধীরে করতে চায়। লোকের উপর প্রভাব বিস্তার করতে চায়। অনেক সময় এরা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি প্রিয় হয়। এরা সরল লোক ভালবাসে। নানা কাজে পার্গত হয়।
শুভবর্ষ- ১৩, ১৬, ২২, ২৫, ৩১, ৪০, ৪৯, ৫২, ৫৮, ৬১, ৬৭, ৭০,
৫। মৃগশিরা-মৃগশিরা নক্ষত্রর অধিকর্তা মঙ্গল। এরা ধীর স্থির কিন্তু কোন অন্যায় দেখলে এদের মাথা গরম হতে পারে। এদের মধ্যে মাঝে মাজে একটু দ্বিমনা ভাব দেখা যায়। অনেকে এদের শ্রদ্ধা করে। এবং এরা মিশুকে হয়। এদের জীবনে মাঝে মাঝে কর্মোন্নতির শুভ যোগ আসে। কিন্তু আত্মীয় ও পরিবেশ থেকে মনে আঘাত পায়। শুভবর্ষ - ৩, ৫, ১২, ১৪, ২১, ২৩, ৩০, ৩২, ৩৯, ৪১, ৪৮, ৫০, ৫৭, ৫৯, ৬৬, ৬৮,
৬। আদ্রা- আদ্রা নক্ষত্রের অধিকর্তা রাহু। এদের নিজ শ্রমদ্বারা উন্নতি করার চেষ্টা থাকে। তবে কাজে সফল হয়না। আকস্মিক প্রাপ্তিযোগথাকে। মানসিক চাঞ্চল্য ও দূশ্চিন্তার ভাব থাকে। দাম্পত্যক্ষেত্র শুভনয়। মাঝে মাঝে নানা রোগ ভয়। শুভবর্ষ- ৪, ৬, ১৩, ১৫, ২২, ২৪, ৩১, ৩৩, ৪০, ৪২, ৪৯, ৫১ ,৫৮, ৬০, ৬৭, ৬৯,
৭। পুনর্বসু- পুনর্নবসু নক্ষত্রর অধিকর্তা বৃহস্পতি। এরা মেধাবী হয় ও জীবনে উন্নতি করিতে পারে। প্রচুর সন্মান ও অর্থ লাভ করে থাকে। প্রায়ই মানসিক শান্তি ও আনন্দে থাকে। ভাই বোনদের জন্য কিছু চিন্তা হতে পারে। অনেকের বন্ধুত্ব ও সাহায্য লাভ করে। ব্যাবসা ও চাকরি দুটোই শুভ।
শুভবর্ষ ৭, ৯, ১৬, ১৮, ২৫, ২৭, ৩৪, ৩৬, ৪৩, ৪৫, ৫২, ৫৪, ৬১, ৬৩, ৭০, ৭২,
৮। পুষ্যা- পুষ্যা নক্ষত্রর অধিকর্তা শনি। এরা খুব ধার্মিক হয়। সংসারে আসক্তি কম থাকে। আধ্যাত্মিকভাব প্রবল হয়। মনুষ্যের মঙ্গল করতে ভালো বাসে। এদের মধ্যে যোগ জ্যোতিষ আধিভৌতিক প্রভৃতির দিকে আকর্ষণ থাকে। ভাগ্য শুভ, কর্মলাভ অর্থলাভ ও নানা দিকে উন্নতি হয়। গুরুজন ব্যাক্তিদের জন্যে চিন্তা থাকে। শুভবর্ষ ৬, ৮, ১৫, ১৭, ২৪, ২৬, ৩৩, ৩৫, ৪২, ৪৪, ৫১, ৫৩, ৬০, ৬২, ৬৯, ৭১,
৯। অশ্লেষা- অশ্লেষা নক্ষত্রর অধিপতি বুধ। এদের জীবনে সব সময় দ্বিধা ও দ্বন্দ্ব ভাব থাকে দ্বিমনা ভাবের থাকে। অনেক কাজ শুরু করে শেষ করতে পারেনা। তাই জীবনে অতৃপ্তি আসে। তবে শ্রম করলে উন্নতি হবেই। দাম্পত্য শুভ হয়। মাঝে মাঝে বাধা বিপত্তি ও চিন্তা হতাশায় জীবন উত্থান, পতন, হতেই থাকবে
শুভবর্ষ ৬, ৯, ১৫, ১৮, ২৪, ২৭, ৩৩, ৩৬, ৪২, ৪৫, ৫১, ৫৪, ৬০, ৬৩, ৬৯, ৭২,
১০। মঘা- মঘা নক্ষত্রর অধিকর্তা কেতু। এরা খুব তেজী হয় এবং আত্ম অভিমান প্রবল হয়। এরা স্পষ্ট কথা বলতে ভাল বাসে। তাই অনেকের অপ্রিয় হয়। এদের মেধাশক্তি খুব উচ্চ নাও হতে পারে। মধ্যম ভাবে জীবন কাটে। নানা বাধার মধ্যদিয়ে উন্নতি হয়। কিন্তু সময়ে হতাশা দেখাদেবে। মনে আবেগ প্রবনতা থাকে। শুভবর্ষ- ১০, ১২, ১৯, ২১, ২৮, ৩০, ৩৭, ৩৯, ৪৬, ৪৮, ৫৫, ৫৭, ৬৪, ৬৭,
১১। পুর্বফল্গুনী- পুর্ব্বফাল্গুনী নক্ষত্রর অধিকর্তা শুক্র এরা মিষ্টিভাষী ও ধীর স্থির এবং একটুগম্ভীর প্রকৃতির হয়। যা করবে মন স্থির করে নেয় সময় বিশেষ কখন প্রকাশ করেনা। অন্যের সমালোচনা করে নির্ভীক ভাবে। ভয় কম থাকে। মাঝেসময়ে কিছু স্বার্থ ভাবদেখা যায়। নারীর প্রতি আকর্ষণ থাকে। এদের জীবনে শুভযোগ অর্থ, আনন্দলাভ,ও সাংসারিক দিকে উন্নতি হয়। শুভবর্ষ- ১১, ১৫, ২০, ২৪, ২৯, ৩৩, ৩৮, ৪২, ৪৭, ৫১, ৫৬, ৬০, ৬৫, ৬৯,
১২। উত্তরফল্গুনী- উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্রর অধিকর্তা রবি। এরা খুব ভক্তিমান হয়। এবং ঈশ্বরের কৃপালাভ করে। এরা স্ত্রীর বশীভূত হতে পারে। সত্য ও সৎ পথে থেকেই এরা উন্নতিসাধন করে। জাতক সুহৃদয়শীল হয় অনেককে সাহার্য্যও করতে ভাল বাসে। এরা সৎবুদ্ধিযুক্ত এবং সদ্ভাবনার হয়।
শুভবর্ষ- ৩, ৭, ১২, ১৬, ২১, ২৫, ৩০, ৩৪, ৩৯, ৪৩, ৪৮, ৫২, ৫৭, ৬১, ৬৬, ৭০,
১৩। হস্তা- হস্তা নক্ষত্রর অধিকর্তা চন্দ্র, এরা চোখের রোগ,বাত, পিত্তরোগ, সর্দিকাশি, প্রভৃতিতে কষ্ট পেতে পারে। এরা জ্ঞানী, বিচক্ষণ, বুদ্ধীমান, চতুর ও মেধাবী হয়। জাতক দীর্ঘায়ূহয়। পারিপার্শিক বাধা না এলে এরা বিরাট শিক্ষিত হয়। নিজ বুদ্ধির দ্বারা প্রচুরঅর্থ উপার্জন করে।
শুভবর্ষ ৪, ১২, ১৩, ২১, ২২, ৩০, ৩১, ৩৯, ৪০, ৪২, ৪৯,. ৫৭, ৫৮, ৬৬, ৬৭,
১৪। চিত্রা-চিত্রা নক্ষত্রর অধিকর্তা মঙ্গল। এরা সত্যবাদী, বিচক্ষণ ও অল্পাহারী হয়। ছোটখাট রোগ ব্যাধি অনেক হয়। অর্থ উপার্জন করে মধ্যম। বহূ কুটুম্ব থাকে। ক্ষমতাশালী হলেও একটু অলস হয়। স্থূলকপাল লোম যুক্তদেহ। দাতের রোগের ভয়।এরা মাঝে মাঝে জণসাধারনের প্রিয় হয়। কখন আবার অপ্রিয় হয়। উত্থান পতনের মধ্যদিয়ে জীবন। তবে এদের তেজ ও সাহস থাকে মনের জোর প্রচুর। শুভবর্ষ- ১৪, ২১, ৩২, ৩৯, ৪১, ৪৮, ৫৭, ৫৯, ৬৬, ৬৮, ৭৫,
১৫। স্বাতী- স্বাতী নক্ষত্রর অধিকর্তা রাহু। এদের মধ্যে শান্তভাব থাকবে। তবে কখন বা হঠাৎ করে রেগে ওঠে। এদের কপালস্থূল, দ্বাতা,সুবুদ্ধিমান, সৎপরামর্শ দাতা, বিদ্বানহয়। এরাধনবান হলেও মনে বৈরাগ্য ভাব থাকে। এরা হয় শুরেশ, দেবদ্বিজে ভক্তিপরায়ণ। সন্তানদের জন্য বিশেষ চিন্তাথাকে। দাঁত ও পেটের রোগের ভয়। শুভবর্ষ-৪, ৬, ১৩, ১৫, ২২, ২৪, ৩১, ৩৩, ৩৪, ৪০, ৪২, ৪৯, ৫১, ৫৮, ৬০, ৬৭, ৬৯,
১৬। বিশাখা- বিষাখা নক্ষত্রর অধিকর্তা বৃহস্পতি। এদের মাথাভার মাথাব্যাথা, পিত্তরোগ হতে পারে। এরা হয় দেবভক্ত, সত্যবাদী, এবং জিতেন্দ্রিয়। ধার্মিক ভাব থাকে প্রায়ই জ্ঞাণী হয়। অজীর্ণরোগ হয়। মোটামুটি সন্দেহ যুক্ত, কামী হয়। তবে এরা নিজ চেষ্টাদ্বারা ধনীহয়। এদের হৃদয়ে সদ্ভাবনা প্রচুর থাকে। কারো সঙ্গে ঝমেলা পছন্দ করে না। তবে রেগে গলে মাথা খুব গরম হয়। শুভবর্ষ- ৭, ৯, ১৬, ১৮, ২২, ২৫, ২৭, ৩৩, ৩৪, ৩৬, ৪৩, ৪৫, ৫২, ৫৪, ৬১, ৭০, ৭২,
১৭। অনুরাধা- অনুরাধা নক্ষত্রর অধিকর্তা শনিদেব। এদের দেহ শ্যামবর্ণ হয়, এরা খুবগভীর ও দয়ালু প্রকৃতির হয়। ধর্মে মতি থাকে। চেষ্টাকরলে যথেষ্ঠ জ্ঞাণলাভ করতে পারে। এদের পেটের বা লিভারের রোগ হয়। এরা সুদেহী, কামভাব বেশি। শ্রমদ্বারা ভাল অর্থ উপার্জন করতে পারে। মনন শীলতা থাকে, তবেঅব্যয় খরচ দেখলে মাথাগরম হয়। শুভবর্ষ-৬,৮,১৫, ১৭, ২৪, ২৬, ৩৩, ৩৫, ৪২, ৪৪, ৫১, ৫৩, ৬০, ৬২, ৬৯, ৭১,
১৮। জেষ্ঠা- জেষ্ঠা নক্ষত্রর অধিকর্তা বুধ, এরা খুব দয়ালু হৃদয়বান থাকে। চেষ্টাকরলে এরা প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারে। বাতরোগ পিত্তরোগ মাথার রোগ হতে পারে। এদের মধ্যে অল্প বয়েসে বেশী বুদ্ধির বিকাশ হয় এরা খুব বাস্তববাদী ও শ্রমশীল। তবে প্রচুর আয় করে গরীব দঃখীদের সাহার্য্য করে থাকে।
শুভবর্ষ-৬, ৯, ১৫, ১৮, ২৪, ২৭, ৩৩, ৩৬, ৪২, ৪৫, ৫১, ৫৪, ৬০, ৬৩, ৬৯, ৭২,
১৯। মূলা- মূলা নক্ষত্রর অধিকর্তা কেতু। এদের কপালহয় গজের মতো। শীতলদেহ বিপরীত লিঙ্গের বশীভূত হয়। এরা গান বাজনা ভাল শিখতে পারে। এরা খুব আড়াম্বরপ্রিয় হয়। চোখ একটু রক্তাভ। এদের বহূ আত্মীয় কুটুম্ব থাকে। এরা প্রায়ই একটু কৃপণ হয়। সন্তানের জন্য বিশেষ চিন্তাথাকে। দাম্পত্য মধ্যম, এরা নিজ মনের কথা প্রায় লুকিয়ে রাখে। শুভবর্ষ - ৭, ১০, ১৬, ১৯, ২৫, ২৮, ৩৪, ৩৭, ৪৩, ৪৬, ৫২, ৫৫, ৬১, ৬৪, ৭০, ৭৩,
২০। পূর্বাষাঢ়া-পূর্ব্বাষাঢ়া নক্ষত্রর অধিকর্তা শুক্র,এদের কপালস্থূল মতো। এরা লেখাপড়া ভাল শিখতে পারে। একটু আড়ম্বরপ্রিয় চোখ একটু রক্তাভ। এদের বহূত আত্মীয় কুটুম্ব থাকে। একটু খরচী হয়। এরা গৌরবর্ণর শুচিবদন জাতক দীর্ঘায়ূ এবং বাবা মার প্রিয় হয়। বহূ লোকের ও আপন আত্মীয়র আশ্রয়দাতা হয়। তবে প্রশংসা কম পায়। শুভবর্ষ- ৩, ৬, ১২, ১৫, ২১, ২৪, ৩০, ৩৩, ৩৯, ৪২, ৪৮, ৫১, ৫৭, ৬০, ৬৬, ৬৯,
২১। উত্তরষাঢ়া- উত্তরষাঢ়া নক্ষত্রর অধিকর্তা রবি। এদের দেহ একটু স্থূল মতো মনে গর্বিত ভাব থাকে। জাতকের যশ লাভহয়। গান বাজনা ও শিল্পে পার্গত হয়। এদের অজীর্ণ উদারময় বাতরোগ লিভার রোগঅম্লরোগ দেখা দেয়। পিঠ একটু কুঁজো ভাব, এরা অনেকের শ্রদ্ধালাভকরে এবং সন্মানিত হয়। এদের কাছেথেকে সবাই সমান সাহায্য পায়না। ৩, ১০, ১২, ১৯, ২১, ২৮, ৩০, ৩৭, ৩৯, ৪৬, ৪৮, ৫৫, ৫৭, ৬৪, ৬৬, ৭৩,
২২। শ্রবনা- শ্রবনা নক্ষত্রের অধিকর্তা চন্দ্র। এদের দেহ একটু কঠিন হয়। চাপা গজ কপাল, শ্যামবর্ণ হয়। এদের বাতরোগ, লিভাররোগ, অম্ল, অজীর্ণ, রোগ হয়। চোখ একটু রক্তাভ হয়। এরা বেশ সু-রসিকহয়। পরিশ্রমী ও বুদ্ধিমান শ্রমদ্বারা জীবনে উন্নতি করে। খরচা বেশী করতে চায় না।
শুভবর্ষ- ১৩, ১৬, ২২, ২৫, ৩১, ৩৪, ৪০, ৪৩, ৪৯, ৫২, ৫৮, ৬১, ৬৭, ৭০,
২৩। ধনিষ্ঠা- ধনিষ্ঠা নক্ষত্রর অধিকর্তা মঙ্গল। এরা গৌরবর্ণ ধার্মিক ও দেবভক্ত হয়। পেটেররোজ ও অজীর্ণ রোগ হয়। উপার্জন মধ্যমহয়। মন খুব চঞ্চল, খেতে ভাল বাসে। মাঝে সময়ে ভ্রমনে খুশী হয়। অনেক সময় ধনী ও দাতাহয়। মাঝ বয়েস থেকে সুখী হয় প্রথম জীবনে সংগ্রাম।
শুভবর্ষ- ১৪, ২১, ২৩, ৩০, ৩২, ৩৯, ৪১, ৪৮, ৫০, ৫৭, ৫৯, ৬৬, ৬৮, ৭৫,
২৪। শতভিষা- শতভিষা নক্ষত্রর অধিকর্তা রাহু। এদের মন বেশ পবিত্র এবং সত্যনিষ্ঠ হয়। জীবনে অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারে। শ্যামবর্ণ হয়। এদের আমবাত এলার্জি স্নায়বিক ও চোখেররোগ হয়। এরা বিবেকি এবং বৈরাগ্য ভাবের হয়। শেষ জীবনে সন্ন্যাস ধর্ম লাভ করিতে পারে। ব্যাবহার মধুর তবে স্বভাব চাপা। শুভবর্ষ-৪, ৬, ১৩, ১৫, ২২, ২৪, ৩১, ৩৩, ৪০, ৪২, ৪৯, ৫১, ৫৮, ৬০, ৬৭, ৬৯,
২৫।- পূর্বভাদ্রপদ- নক্ষত্র অধিকর্তা বৃহস্পতি। এদের কপাল প্রশস্ত নাসা উন্নত হয়। দেহ তাম্রবর্ণ। বিপরীত লিঙ্গের বশীভূত হয়। এরা পরোপকারী এবং দয়ালু প্রকৃতির হয়। রূপ সুন্দর হয়, রাজভক্ত রাজসেবক হতে পারে। জীবনে প্রচুর অর্থ উপার্জন যেমন করে তেমন খরচও অত্যাধিক করে। গৃহ নির্মাণ যোগ আছে। জাতক বিদ্বানও হয়। শুভবর্ষ-৭, ৯, ১৬, ১৮, ২৫, ২৭, ৩৪, ৩৬, ৪৩, ৪৫, ৫২, ৫৪, ৬১, ৬৩, ৭০, ৭২,
২৬। উত্তরভাদ্রপদ- উত্তর ভাদ্রপদ নক্ষত্র অধিকর্তা শনিদেব। এরা গৌরবর্ণ ও রূপবান হয়। গম্ভীর ভাব থাকে,সরকারী কাজ করলে প্রচুর উন্নতি করে। এরা নির্জনতা পছন্দ করে যাদুবিদ্যা, জ্যোতিষ, গভীর জ্ঞাণের পুস্তকপাঠ প্রভৃতি ভাল বাসে। হালকা ভাব সদায় পছন্দ করে। এদের মন বাইরে বোঝা কঠিন।
শুভবর্ষ- ৬, ৮, ১৫, ১৭, ২৪, ২৬, ৩৩, ৩৫, ৪২, ৪৪, ৫১, ৫৩, ৬০, ৬২, ৬৯, ৭১,
২৭। রেবতী নক্ষত্র অধিকর্তা বুধ। এরা সুন্দর চেহেরা বিশিষ্ট, এরা সুন্দর চেহেরা বিশিষ্ট, গৌর বর্ণ জ্ঞাণী মানী এবং বিরাট যশস্বী হতে পারে। এদের কেশ দীর্ঘ ও কাম ভাব বেশী থাকে এবং একাধিক নারীতে আকৃষ্ট হতে পারে। এরা বাইরে হালকা স্বভাব কিন্তু ভিতরে ভীষণ চতুর। মাঝে মাঝে দ্বিমনা ভাব দেখা যায়। অনেক সময় খেয়ালের বশে অনেক কাজ করে । বৃদ্ধি ও শিল্পী কাজে এরা প্রচুর উপার্জন করে।
শুভবর্ষ-৬, ৯, ১৫, ১৮, ২৪, ২৭, ৩৩, ৩৬, ৪২, ৪৫, ৫১, ৫৪, ৬০, ৬৩, ৬৯, ৭২,

Monday, October 16, 2017

॥ লঙ্কেশ্বর রাবনকৃত শ্রীশিবস্তুতি ॥


শ্রীগণেশায় নমঃ ।
গলে কলিতকালিমঃ প্রকটিতেন্দুভালস্থলে বিনাটিতজটোত্করং রুচিরপাণিপাথোরুহে ।
উদঞ্চিতকপালকং জঘনসীম্নি সন্দর্শিতদ্বিপাজিনমনুক্ষণং কিমপি ধাম বন্দামহে ॥ ১॥
বৃষোপরি পরিস্ফুরদ্ধবলধামধামশ্রিয়াং কুবেরগিরিগৌরিমপ্রভবগর্বনির্বাসি তত্ ।
ক্বচিত্পুনরুমাকুচোপচিতকুঙ্কুমৈ রঞ্জিতং গজাজিনবিরাজিতং বৃজিনভঙ্গবীজং ভজে ॥ ২॥
উদিত্বরবিলোচনত্রয়বিসৃত্বরজ্যোতিষা কলাকরকলাকরব্যতিকরেণ চাহর্নিশম্ ।
বিকাসিতজটাটবীবিহরণোত্সবপ্রোল্লসত্তরামরতরঙ্গিণীতরলচূডমীডে মৃডম্ ॥ ৩॥
বিহায় কমলালয়াবিলসিতানি বিদ্যুন্নটীবিডম্বনপটূনি মে বিহরণং বিধত্তাং মনঃ ।
কপর্দিনি কুমুদ্বতীরমণখণ্ডচূডামণৌ কটীতটপটীভবত্করটিচর্মণি ব্রহ্মণি ॥ ৪॥
ভবদ্ভবনদেহলীবিকটতুণ্ডদণ্ডাহতিত্রুটন্মুকুটকোটিভির্মঘবদাদিভির্ভূয়তে ।
ব্রজেম ভবদন্তিকং প্রকৃতিমেত্য পৈশাচিকীং কিমিত্যমরসম্পদঃ প্রমথনাথ নাথামহে ॥ ৫॥
ত্বদর্চনপরায়ণপ্রমথকন্যকালুণ্ঠিতপ্রসূনসফলদ্রুমং কমপি শৈলমাশাস্মহে ।
অলং তটবিতর্দিকাশয়িতসিদ্ধিসীমন্তিনীপ্রকীর্ণসুমনোমনোরমণমেরুণামেরুণা ॥ ৬॥
ন জাতু হর য়াতু মে বিষয়দুর্বিলাসং মনোমনোভবকথাস্তু মে ন চ মনোরথাতিথ্যভূঃ ।
স্ফুরত্সুরতরঙ্গিণীতটকুটীরকোটৌ বসন্নয়ে শিব দিবানিশং তব ভবানি পূজাপরঃ ॥ ৭॥
বিভূষণসুরাপগাশুচিতরালবালাবলীবলদ্বহলসীকরপ্রকরসেকসংবর্ধিতা ।
মহেশ্বরসুরদ্রুমস্ফুরিতসজ্জটামঞ্জরী নমজ্জনফলপ্রদা মম নু হন্ত ভূয়াদিয়ম্ ॥ ৮॥
বহির্বিষয়সঙ্গতিপ্রতিনিবর্তিতাক্ষাবলেঃ সমাধিকলিতাত্মনঃ পশুপতেরশেষাত্মনঃ ।
শিরঃসুরসরিত্তটীকুটিলকল্পকল্পদ্রুমং নিশাকরকলামহং বটুবিমৃশ্যমানাং ভজে ॥ ৯॥
ত্বদীয়সুরবাহিনীবিমলবারিধারাবলজ্জটাগহনগাহিনী মতিরিয়ং মম ক্রামতু ।
উপোত্তমসরিত্তটীবিটপিতাটবী প্রোল্লসত্তপস্বিপরিষত্তুলামমলমল্লিকাভ প্রভো ॥ ১০॥
ইতি শ্রীলঙ্কেশ্বরবিরচিতা শিবস্তুতিঃ সমাপ্তা ॥

Friday, October 6, 2017

পুরান এর প্রকৃত পরিচয়

বর্তমান সময়ে বেদ এবং পুরান এর সম্পর্ক এবং এদের পারস্পরিক সাংঘর্ষিকতার বিষয়টা নিয়ে একটা ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।বেদ এর সাথে পুরানসমূহের সাংঘর্ষিকতা এবং পুরানসমূহের প্রচলন বৈদিক সভ্যতার পতন ও বৈদিক ধর্মের অবক্ষয় এর মূল কারন।পুরান বলতেই আমরা ৩৬টি প্রচলিত পুরান(১৮টি প্রধান পুরান ও ১৮টি উপপুরান) কে বুঝি।কিন্তু আসলেই কি তাই?

আমাদের ১৮টি পুরান এবং ১৮টি উপপুরান আছে যেগুলো ব্যসদেব কর্তৃক লিখিত বলে কথিত।এই পোষ্টে পুরানসমূহের প্রকৃত পরিচয় সম্বন্ধে আলোকপাত করা হবে।

পুরানসমূহকে পঞ্চম বেদ এর ন্যয় মর্যাদা দেয়া হত।এটা বৈদিক যুগে পুরানসমূহের গুরুত্বপূর্ন অবস্থান নির্দেশ করে।

শ্রুতিশাস্ত্রে পুরান এর উল্লেখ-
"রিচা সামানি ছন্দমসি পুরানাম যজুসা সহ উচ্ছিস্টজ্জানি রে সর্বে দিবি দেবা দিবি স্মৃতহ"
(অথর্ববেদ ১১.৭.২৪)
এবং
ইতিহাসাং চ পুরানাং চ গাথা চ ইতিহাসস্য চ স বায় পুরানস্য চ গাথানাম চ নরসংসাম চ প্রিয়ম ধামা ভবতি য ইবম বেদ
(অথর্ববেদ ১৫.৬.১১-১২)

অর্থাত্‍ ঋগ,সাম,যজু ও অথর্ব ঈশ্বর কর্তৃক প্রদত্ত,ঠিক তেমন পুরান,ইতিহাস,গাথা,কল্প ও সকল দেবসমূহও তাঁর থেকে সৃষ্ট।

ছান্দেগ্য উপনিষদ বলেছে-
"ইতিহাসপুরানাম পঞ্চম বেদানাহ বেদহ"
(ছান্দেগ্য উপনিষদ ৭.১.২,৭.১.৪)
অর্থাত্‍ ইতিহাস পুরানসমূহ যেন পঞ্চম বেদরুপ।

উপরোক্ত আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে পুরানসমূহ অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে এবং এগুলো বেদ বুঝতে সহায়ক।

বেদদ্রষ্টা এবং উপনিষদ রচয়িতা মুনিগন(যেমন ছান্দেগ্য উপনিষদ রচয়িত ঋষি উদ্দালক ,সনত্‍কুমার,সান্দিল্য মুনি কর্তৃক) সত্য এবং ত্রেতা যুগে জন্মগ্রহন করেন।

কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যসদেব দ্বাপর যুগে জন্মগ্রহন করেন।

উপরের পয়েন্টগুলো থেকে এটা পরিস্কার যে পুরানসমূহের রচয়িতা এবং পুরানসমূহ বেদদ্রষ্টা ঋষিদের এবং বেদ এর অনেক পরে এসেছে।

সুতরাং বেদ এবং উপনিষদ এ উল্লেখিত পুরানসমূহ বর্তমান এ প্রচলিত ৩৬টি পুরান নয় কেননা তখন ওই গ্রন্থগুলোই ছিলনা এবং তাদের গ্রন্থকারদের জন্ম ই হয়নি।

 সুতরাং পুরানসমূহ যার কথা বেদ এবং উপনিষদ এ উল্লেখিত তা বর্তমানে প্রচলিত ৩৬টি পুরাণ নয়।তাহলে এখন প্রশ্ন হল পুরান কোনগুলো যার কথা বেদ ও উপনিষদ এ এত গুরুত্বের সাথে বলা হয়েছে? 

মহাভারত এ ব্যসদের বলেছেন বেদ বোঝার জন্য পুরানসমূহ প্রয়োজন-

"তথা হি মহাভারতে মানবিয়ে চ ইতিহাস পুরানাব হ্যম বেদম সমুপব্রহ্ময়েত বিভেয়ি অল্পশ্রুতদ বেদো মম অয়ম
প্রহরীস্যতি ইতি
পুরানাম পুরানাম ইতি চন্যয়ত্র্য
ন চ বেদেন বেদেস্য ব্রহ্মনম সম্ভবতি ন
য অপরিপুর্নস্য কনক
বলয়সি অ ত্রপুনা পূর্নম যুজ্যতে"
(মহাভারত আদি পর্ব,১.২৬৭,২৬৮)

বর্তমানে প্রচলিত পুরানসমূহের মতে ব্যসদেব মহাভারত লেখার ও বহুকাল পরে পুরানসমূহ রচনা করেন।যদি তাই হয়ে থাকে তবে মহাভারত এ পুরান শব্দটি এলো কি করে?কেননা তখন পর্যন্ত তো পুরান বলে তো কিছু ছিলই না!এর মাধ্যমে মহাভারত এ উল্লেখিত পুরান মহাভারত এর আগে থেকেই বিদ্যমান ছিল।

অর্থাত্‍ বর্তমানে প্রচলিত ৩৬টি পুরান মহাভারত এ উল্লেখিত পুরানসমূহ নয়।

*ঐতরেয়,শতপথ,গোপথ ও সাম-এই চারটি ব্রাহ্মন গ্রন্থ ই হল বেদ,উপনিষদ ও মহাভারত এ উল্লেখিত অতীব গুরুত্বপূর্ন পুরান!

এই চার ব্রাহ্মন গ্রন্থের অপর নামগুলো হল ইতিহাস,পুরান,কল্প,গাথা এবং নরসংশি।

¤যখন ব্রাহ্মন গ্রন্থে বিভিন্ন পুর্বাপর ঘটনা বর্ণিত থাকে তখন তার নাম হয় ইতিহাস(যেমন ঐতেরিয় ব্রাহ্মন এ যাজ্ঞবল্ক্যসহ বিভিন্ন ঋষির ইতিহাস)

¤ব্রাহ্মন গ্রন্থসমূহে যখন সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয় তখন তার নাম হয় পুরান(শতপথ ব্রাহ্মন এর সৃষ্টিতত্ত্ব)

¤যখন বৈদিক শব্দের ব্যকরন ও অর্থ এবং তার ব্যুত্‍পত্তি নিয়ে আলোচনা করা হয় তখন এদের নাম হয় কল্প

¤যেহেতু বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে বিভিন্ন দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে সেহেতু আরেক নাম গাথা।

¤অনেক স্থানে বিভিন্ন কাহিনীর মাধ্যমে ভাল-মন্দের নৈতিক শিক্ষা দেয়া হয়েছে তাই আরেক নাম নরশংশি।

পুরান এর সংজ্ঞা দিতে গিয়ে সায়নাচার্য বলেছেন-

"ইদম নৈব কিমছনসিন্নদ রসিতিত্যদিবম।
জগতঃ প্রগনবস্থাম উপক্রম্য স্বর্গপ্রতিপদ একম বাক্যথতম পুরানাম"
(Aiterya Aranyaka,shayana bhumika)

অর্থাত্‍ সৃষ্টির পূর্বে শুধু সেই এক ও অদ্বিতীয় ই বিরাজমান ছিলেন।সৃষ্টির পর তাঁর সৃষ্টির তত্ত্ব নিয়ে যেগুলো আলোচনা করল সেগুলো পুরান।

আরো স্পষ্ট করে দিতে এবং মানুষ যাতে দ্বিধায় না ভুগে সেজন্য বলেছেন,

"ন ব্রহ্ম যজ্ঞ প্রকারনেমন্ত্র ব্রাহ্মনব্যতিরেকে ত ইতিহাস্যেভাগ অম্লয়ন্তে"
অর্থাত্‍, ব্রহ্ম যজ্ঞে মন্ত্র উচ্চারন করা হয় যে ব্রাহ্মনসমূহথেকে সেগুলো ব্যতিরেক অন্য কোন গ্রন্থ ই পুরান নয়।

এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে বৈদিক যুগে যজ্ঞের পরে যজমানরা ব্রাহ্মন গ্রন্থসমূহ থেকে সৃষ্টিসুক্ত সমূহ উচ্চারন করত যে কারনে এসব গ্রন্থকে পুরান বলা হত।

তৈত্তিরীয় আরন্যক এর ২.৯ এ স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে-
"য়দ ব্রাহ্মনি ইতিহাস পুরানানি কল্পন গাথা নরসংশি"
অর্থাত্‍ মন্ত্রের বিষয় ভিত্তিতে ব্রাহ্মন গ্রন্থসমূহই পুরান,ইতিহাস,কল্প,গাথা ও নরসংশি নামে পরিচিত।

সুতরাং এটা পরিস্কার যে বেদ,উপনিষদ ও মহাভারতে উল্লেখিত পুরান হল ব্রাহ্মনগ্রন্থসমূহ এবং প্রচলিত ৩৬টি পুরানসমূহ(বিষ্ণু পুরান,নারদিয় পুরান,অগ্নি পুরান,পদ্ম পুরান,গঢ়ুড় পুরান,মার্কন্ডেয় পুরান,শিব পুরান,লিঙ্গ পুরান,স্কন্দ পুরান ইত্যাদি) প্রকৃত পুরান নয়।আরো খেয়াল করে এই পুরানসমূহ পড়লে বোঝা যায় যে নানারকম ভূল,অবৈজ্ঞানিক ও অবাস্তব কাহিনীতে পরিপূর্ন,অশ্লীলতায় ভরা এই বিকৃত পুস্তকসমূহ মোটেও মহর্ষি ব্যসদেব এর লেখা নয় বরং কিছু ধর্মব্যবসায়ীদের ষড়যন্ত্রের ফসল।

সুতরাং সনাতন এর ঐক্যের স্বার্থে এবং বৈদিক ধর্মের ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের জন্য এইসব মিথ্যা গ্রন্থ আমাদের বর্জন করা উচিত
লেখার সম্পুর্ন রাইটঃ অগ্নিবীর বাংলাদেশ শাখার।

Monday, October 2, 2017

পরমেশ্বর ভগবান শিব সম্পর্কে কিছু মূল্যবান তথ্য

ভগবান  শিব সম্পর্কে কিছু মূল্যবান তথ্য
  • ·        ভগবান শিব থেকে সমস্ত কিছুর সৃষ্টি। সমস্ত দেবতার সৃষ্টির আগে থেকে উনি ছিলেন তাই উনাকে দেবাদিদেব বলা হয়। (শিব পুরান)
  • ·        ভগবান শিব অজাত শত্রু। মানে উনার কোন শত্রু নাই। দেবতা, অসুর, মানব, যক্ষ, পিশাচ, ভূত ইত্যাদি সবাই উনাকে উপাসনা করেন।  যে কোন  সিদ্ধান্ত বা ন্যায় বিচারের জন্য সবাই উনার শরনাপন্ন হন।
  • ·        ভগবান শিবের মূর্তি পূজা হয় না। প্রভু সব সময় সবাইকে শিব লিঙ্গে (চিহ্ন) পূজা দিতে উৎসাহিত করেন। উনি লিঙ্গে সদা জাগ্রত। এমন কি রাবন যখন উনার কাছে বর পান যে উনার স্থাপিত মন্দিরে উনি জাগ্রত থাকবেন তখনও প্রভু রাবনকে শিব লিঙ্গ দিয়ে তা স্থাপন করতে বলেন। (বাল্মিকি রামায়ন)।
  • ·        ভগবান শিব অল্পে তুষ্ট। সামান্য জল ও বিল্ব পত্রে উনি অনেক খুশী হন। উদাহরন হিসাবে বলা যায়। মাতা সতি যখন দক্ষের বিষ্ণু মন্দিরের স্থাপন করতে যাচ্ছিলেন তখন দক্ষ শিব হিন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সতি তা জানতেন না। বিষ্ণু মূর্তি কোনভাবেই মন্দিরে ঢুকাতে পারছিলেন না কেউ। সবশেষে যখন সতি সেইখানে শিব লিঙ্গ রাখেন ও শুধু বিল্ব পত্রের মাধ্যমে পরমেশ্বর ভগবান কে আহবান করেন। ভগবান শিব তখন প্রকট হন ও দক্ষের বিষ্ণু মন্দির স্থাপন হয়। (শিব পুরান )
  • ·        একবার শিব নামে অনেক পুণ্য। এর বহু প্রমান আছে। এক ব্যাধ শিকার করতে করতে অজান্তে শিব রাত্রি ব্রত পালন করে লিঙ্গে জল ও বেল পত্র দিয়ে অভিষেক করান। ফল স্বরূপ উনি মৃত্যুর পর মুক্তি লাভ করেন ও শিব লোকে স্থান পান। (শিব পুরান)
  • ·        ভগবান শিব এর হাতে ত্রিশুল এর অনেক কারন ও অর্থ আছে। আমি অন্যতম ২ টি কারন এইখানে আলোচনা করবো। 
  •       ত্রিশুলের তিন অংশ সৃষ্টির তিন অবস্থা সৃষ্টি ,স্থিতি ও প্রলয়ের ইঙ্গিত করে। এর মানে হল। উনার থেকেই সব কিছুর শুরু আবার উনাতেই সব কিছু মিলিয়ে যাবে।
    ত্রিশুল আবার সত্ত্ব, রজ ও তম গুনের প্রতীক। তার মানে উনি এই তিন গুনেরও স্বরূপ।
  • ভগবান শিব চন্দ্রকে দক্ষের অভিশাপ থেকে বাঁচিয়েছিলেন ও নিজের জটায় ধারন করেছিলেন। তাই উনার আর এক নাম চন্দ্রনাথ বা চন্দ্রশেখর।



  • ·           ভগবান শিবের ১৯ জন অবতার আছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন 
    নন্দি মহারাজ
     দুর্বাসা
     বীরভদ্র
    কাল ভৈরব
    অশ্বথামা ইত্যাদি।

  • ·        ভগবান শিব বৈদিক দেবতাদের মাঝে অন্যতম একজন দেবতা যাকে রুদ্র নামে বার বার স্রষ্টার প্রত্যক্ষ স্বরূপ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।এখানে উল্লেক্ষ্য সাম বেদ প্রায় পুরোটাই ভগবান শিবের স্তব ও স্তুতি করা হয়েছে।ঋষি অথর্ব্ব প্রভু শিবের কৃপাতে মহাপবিত্র অথর্ব্ববেদ রচনা করেন।
  • ·        শুধু বেদ নয়। বেদান্ত, বেদাঙ্গ, উপনিষদ সহ প্রায় সর্ব শ্রুতি ও সৃতি শাস্ত্রে উনার উল্লেখ পাওয়া যায়।

·        আমরা সবাই জানি সনাতন ধর্ম একটি পূর্ণাঙ জীবন বিধান। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অসাধারন সমন্বয় একমাত্র সনাতন ধর্মেই আছে। এই ধর্মে জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে যেমন আলচনা করা হয়েছে তেমনি দৈনন্দিন জীবনের সুক্ষ্যাদি সুক্ষ্য বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে। যেমন সুগন্ধি শিল্প। পাঠক মনে করতে পারেন এর সাথে শিবের কি সম্পর্ক ?
  •    পাঠকের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি। আয়ুর্বেদ , বাস্তু শাস্ত্র, কাম শাস্ত্র থেকে জ্যোতির্বিদ্যা সব কিছুর জ্ঞ্যান ভগবান শিব ঋষি ও মুনিদের দান করেন। যার কারনে উনারা ইহা লিপিবদ্ধ করেন আর মানুষ আজ এসব জ্ঞ্যান চর্চা করতে পারছে।
  • ·        ভগবান শিব নৃত্য ও কলারও জনক। আধুনিক বিশ্বে আমরা যে ভাস্কর্য শিল্প বা আর্ট দেখি তার জ্ঞ্যান মানব জাতিকে প্রভু শিব শঙ্কর দান করেন।

  • ·        শিব যুদ্ধ বিদ্যার জনক। তাছাড়া উনি অস্ত্রের স্রষ্টা। যার কারনে পরশুরাম এর কুঠার থেকে ভগবান বিষ্ণুর চক্র পর্যন্ত উনার দান। দেব সেনাপতি কার্ত্তিক কর্তৃক তারকাসুর বধ সম্ভব হয়েছিল কারন প্রভু স্বয়ং কার্তিকের যুদ্ধ বিদ্যার গুরু ছিলেন।

·        ত্রেতা ও দ্বাপর যুগের সেরা ২ জন অবতার রাম ও শ্রী কৃষ্ণ পরম শিব ভক্ত ছিলেন। যার প্রমান আমরা রামায়ন ও শিব গীতাতে পাই। তাছাড়া মহাভারতের শান্তি পর্বে আমরা পাই “মহাভারতের কৌরব পান্ডবদের যুদ্ধ শেষে একদিন শ্রীকৃষ্ণ ভগবান শিবের অর্চনা করছিলেন তখন অর্জুন সেখানে উপস্থিত ছিলেন । অর্জুন তখন শ্রীকৃষ্ণকে প্রশ্ন করেন " তুমি তো ভগবান তবে তুমি কেন শিবপূজা কর ? " উত্তরে শ্রীকৃষ্ণ বলেছিলেন " হে অর্জুন আমি যদি ভগবান শিবকে পূজা না করি তবে আমি কৃষ্ণের পূজা ভবিষ্যতে কেউ করবে না । " শ্রী কৃষ্ণের রচিত সহস্রনাম স্তোত্র ভগবান শিবের একটি শ্রেষ্ঠ স্তোত্র ।


Ancient Universities Of Bharat

Introduction:
Most Indians today are well aware of the two famous ancient universities of India which also are one of the oldest universities in the world – Takshashila University (Taxila) and Nalanda. But are these the only knowledge centers that existed in ancient India? Education has always been given great prominence in Indian society since the times of the vedic civilization, with gurukul and ashrams being the centers of learning. And with evolving times, a large number of centers of learning were established across ancient India of which Takshashila and Nalanda are the most famous ones known today. Below is a list of major ancient universities that flourished across ancient India.

Nalanda University:
Nalanda University was established by Shakraditya of Gupta dynasty in modern Bihar during early 5th century and flourished for 600 years till 12th century. Nalanda was the world’s first university to have residential quarters for both students and teachers. It also had large public lecture halls. Students from countries like Korea, Japan, China, Tibet, Indonesia, Persia and Turkey came to study in this university.

The library of this university was the largest library of the ancient world and had thousands of volumes of manuscripts on various subjects like grammar, logic, literature, astrology, astronomy, and medicine. The library complex was called Dharmaganja, and had three large buildings: the Ratnasagara, the Ratnadadhi, and the Ratnaranjaka. Ratnadadhi was nine stories tall and stored the most sacred manuscripts including the Prajnaparamita Sutra and the Samajguhya.

In 2010, the parliament of India passed a bill approving the plans to restore the ancient Nalanda University as a modern Nalanda International University dedicated for post-graduate research. Many east asian countries including China, Singapore and Japan have come forward to fund the construction of this revived Nalanda University.

Takshashila University:
Taxila as it is called today, Takshashila University established around 2700 years ago was home to over 10500 students where the students from all across the world used to come to attain specialization in over 64 different fields of study like vedas, grammar, philosophy, ayurveda, agriculture, surgery, politics, archery, warfare, astronomy, commerce, futurology, music, dance, etc. Famous graduates of this University include the ones like Chanakya, Panini, Charaka, Vishnu Sharma, Jivaka etc. This is the world’s oldest university.




Vikramashila University:
Vikramashila University was established by Dharmapala of Pala dynasty during late 8th century and flourished for 400 years till 12th century. It was located in the Bhagalpur district of modern day Bihar. It gave direct competition to Nalanda University with over 100 teachers and over 1000 students listed in this University. This university was well known for its specialized training on the subject of Tantra (Tantrism). One of the most popular graduates from this University was Atiśa Dipankara, a founder of the Sharma traditions of Tibetan Buddhism who also revived the Buddhism in Tibet.



Valabhi University:
Valabhi University was established in Saurashtra of modern Gujarat at around 6th century and it flourished for 600 years till 12th century. Chinese traveler Itsing who visited this university during the 7th century describes it as a great center of learning. Gunamati and Sthiramati, the two famous Buddhist scholars are said to have graduated from this University. This University was popular for its training in secular subjects and students from all over the country came to study in this University. Because of its high quality of education, graduates of this University were given higher executive posts.



Pushpagiri University:
Pushpagiri University was established in ancient Kalinga kingdom (modern day Odisha) and was spread across Cuttack and Jajpur districts. It was established in 3rd century and flourished for the next 800 years till 11th century. The university campus was spread across three adjoining hills – Lalitgiri, Ratnagiri and Udayagiri. This was one of the most prominent centers of higher education in ancient India along with the universities of Takshashila, Nalanda and Vikramashila. The Chinese traveler Xuanzang (Huien Tsang) visited this university in 639 CE. Lalitgiri is said to have been commissioned by early 2nd century BCE itself and is the oldest Buddhist establishments in the world. Recently a few images of Emperor Ashoka have been discovered here, and it has been suggested that the Pushpagiri University was established by Emperor Ashoka himself.





Odantapuri University:
Odantapuri University was established by Dharmapala of Pala dynasty during late 8th century in Magadha (which is in modern day Bihar) and flourished for 400 years till 12th century. The famous Acharya Sri Ganga who was a professor at the Vikramashila University was a graduate of this Odantapuri University. According to the ancient Tibetan records there were about 12,000 students studying at this University. Ancient Tibetan texts mention this as one among the five great Universities of its time, the other four being Vikramashila, Nalanda, Somapura and Jagaddala Universities – all located in ancient India.






Somapura University:
Somapura Mahavihara was established by Dharmapala of Pala dynasty during late 8th century in Bengal and flourished for 400 years till 12th century. The University spread over 27 acres of land of which the main complex was 21 acres was one of the largest of its kind. It was a major center of learning for Bauddha Dharma (Buddhism), Jina Dharma (Jainism) and Sanatana Dharma (Hinduism). Even today one can find ornamental terracotta on its outer walls depicting the influence of these three traditions.




Other Ancient Universities:
The above mentioned list is not a complete list of ancient Indian universities either. Dharmapala of Pala dynasty alone is said to have established 50 mega learning centers across his kingdom, and they have been as huge and as popular as the ones mentioned above. For instance, the Munshiganj Vihara discovered as recently as Marh 23, 2013 in Bengal is said to have been established in 9th century and was home to 8000 students who came from faraway places like China, Tibet, Nepal and Thailand.

Destruction of Ancient Indian Universities:
As you can see, many of the universities mentioned above came to an end around 12th century. The universities like Nalanda, Vikramashila etc were destroyed around this period during the Muslim invasion of India by the fanatic Bakhtiyar Khilji from Turkey in 1193 CE. The great library of Nalanda University was destroyed, ransacked and burnt by the soldiers of Khilji’s army and it is said that it was so vast that the manuscripts kept burning for three months. In-numerous number of ancient Indian manuscripts carefully preserved for thousands of years were destroyed in this fire. Thousands of monks in the University were burnt alive and beheaded by Khilji’s army. According to DC Ahir, the destruction of these centres of learning at Nalanda and other places across northern India was responsible for the demise of ancient Indian scientific thought in mathematics, astronomy, alchemy, and anatomy.

সমুদ্রপুত্র রাজা গৌড় গোবিন্দ ও শ্রীহট্ট

  সিলেটের   ‎ গৌড় গোবিন্দ এবং আজকের   ‎ শাহজালাল বিভিন্ন তথ্যপঞ্জী এবং পরবর্তিতে আবিষ্কৃত তাম্রফলক ও শিলালিপি থেকে সিলেটের প্রাচীন ইতিহাস স...

Popular Posts