Sunday, February 21, 2021

রামায়ণের হনুমান নাকি হোমোইরেকটাস জাতীয় মানব

 হনুমানের জায়গায় বানর ব্যাবহার করার কারণ হচ্ছে,আমাদের আশে পাশের অধিকাংশ লোক ই হনুমান বলতে বানরের মতো দেখতে বা বানরের একটা প্রজাতিকে বুঝিয়ে থাকেন।যা আসলে সঠিক নয়।

দুর্ভাগ্যবশত আমাদের দেশের বেশীরভাগ হিন্দু ই হনুমান বলতে এরকম ই কিছু মনে করেন,যেটা আসলে পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাব আমি বলবো।

ছোটবেলায় আমার মা ও আমাকে হনুমান দেখিয়েছেন যা বৈদ্যুতিক তারের উপর দিয়ে যাচ্ছিল।উনাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই, তখনকার দিনে ইন্টারনেট ছিলো না আর স্কুলে হিন্দু ধর্মশিক্ষা বইয়ের থেকে এগুলা জানার কথা ও না।

আসলে হনুমান কি বা কে?

হনুমান কেবলই হিন্দুদের একজন দেবতার নাম মাত্র,এটি কোনো বানরের মতো দেখতে প্রাণীর প্রজাতি বা জাতি নয়।

প্রকৃতপক্ষে হনুমান ছিলেন শিবের একজন অবতার যিনি বানর হয়ে জন্মগ্রহণ করেন এক বানর রাজপরিবারে এবং শিব নিজে এসে উনার নাম রেখে যান "মারুতী" । বানর রাজপরিবারে জন্ম হলেও "বায়ু" বা পবন দেব উনাকে দিয়েছিলেন।

জন্মের পর পরই উনার নাম হনুমান ছিলো না,এটি দেবরাজ ইন্দ্রের দেওয়া একটি নাম এবং সেই নামেই উনি বেশি পরিচিত।

অনেক ছোট যখন ছিলেন,তখন সূর্যকে পাকা আম ভেবে গিলতে শুরু করেছিলেন,তখন সূর্য না থাকলে পৃথিবীর কি হবে, সৃষ্টির কি হবে ভেবে উনাকে বজ্র ছুড়ে মারেন। বজ্রের আঘাতে উনি তখন ই পড়ে যান।

এতে উনার পিতা বায়ু প্রচন্ড রেগে যান এবং পৃথিবী থেকে সমস্ত বায়ু নিয়ে নেন,যেহেতু উনি বায়ু বা বাতাসের দেবতা।

বাতাসের অভাবে তখনই পৃথিবীর সব প্রাণী মরতে শুরু করে এবং দেবতারা চিন্তায় পড়ে যান। ইন্দ্রের বজ্রের আঘাতে মারুতির মেরুদন্ডের একটি হাড় ভেংগে যায়, যেটা হনু নামে পরিচিত। পরবর্তীতে দেবরাজ ইন্দ্র উনার ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চান এবং উনার বজ্রের আঘাতে যে হনু ভেংগে গিয়েছিলো তার থেকে উনাকে নতুন নাম দেন "হনুমান" এবং আশীর্বাদ করেন।

তাই এখন নিশ্চই আমরা জানি হনুমান নামের অর্থ কি।

রামায়ণের বানর রা কি আলাদা কোনো মানুষের বিশেষ প্রজাতি ছিলো?

উত্তর হ্যা!

রামায়ণের বানর রা নিয়ানডার্থাল মানব ছিলো। সৃষ্টির দেবতা ব্রহ্মা রামের সাহায্যের জন্যে বানরদের সৃষ্টি করেছিলেন,যারা ছিলো মানুষের একটি বিশেষ প্রজাতি যারা জঙ্গলে থাকতো।

বাল্মীকি মুনি তখনকার দিনের বানর দের হাতির মতো আকারের উল্লেখ করেছেন,যারা কিনা "ইয়েতি" এর মতো।

এখনকার দিনের বানর আর রামায়ণের বানর একই ধরনের নয়,রামায়ণের বানর রা মানুষের ই এক বিশেষ প্রজাতি ছিলো । মহাভারতে শ্রী কৃষ্ণ বলেছেন,হনুমান ই উনার প্রজাতির শেষ মানব এবং জাম্বুবান উনার প্রজাতির (ভালুকের মতো দেখতে) শেষ মানব।

কোথাও ভুল লিখে থাকলে শুধরিয়ে দিবেন।

ধন্যবাদ 🙏

সমুদ্রপুত্র রাজা গৌড় গোবিন্দ ও শ্রীহট্ট

  সিলেটের   ‎ গৌড় গোবিন্দ এবং আজকের   ‎ শাহজালাল বিভিন্ন তথ্যপঞ্জী এবং পরবর্তিতে আবিষ্কৃত তাম্রফলক ও শিলালিপি থেকে সিলেটের প্রাচীন ইতিহাস স...

Popular Posts