Thursday, November 14, 2019

রাসলীলা সত্য নাকি কাল্পনিক ?

১/ ভাগবত পুরাণের ১০ম স্কন্ধে উল্লেখ আছে শ্রীকৃষ্ণ শরৎ পূর্ণিমা তে রাসলীলা করেছিলেন ।
২/ ব্রহ্মবৈবর্ত্য পুরাণের শ্রীকৃষ্ণ জন্মখণ্ডের ২৮ নং অধ্যায়ে বর্ণিত আছে শ্রীকৃষ্ণ চৈত্র মাসে রাসলীলা করেছিলেন।
৩/ গর্গসংহিতার বৃন্দাবন খণ্ডের ১৯ তম অধ্যায়ে উল্লেখ আছে শ্রীকৃষ্ণ বৈশাখ মাসে রাসলীলা করেছিলেন ।
প্রথমত পৌরাণিক গণ আগে ঠিক করুন রাসলীলা কোন সময়ে হয়েছিল ? এই তিনটির মধ্যে একটি ঠিক হলে অপরটি মিথ্যা হয়ে পড়ে ।
এবার দ্বিতীয়ত রাসলীলার বর্ণনা ভাগবত থেকে করা যাক , তাতে স্পষ্ট হয়ে যাবে শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলা কতখানি সত্য ?
কৃষ্ণের রাসের কামক্রীড়া দেখে দেবতাদের পত্নীরাও কামার্ত হয়ে গেলেন । কামদেবের উগ্র ইচ্ছা সঞ্চারিত হলে তাদের শরীর কামরসে আর্দ্র হয়ে গেল । চন্দ্র তারা ও গ্রহ সকল হতভম্ব হয়ে গেল । ( ভাগবত স্কন্ধ ১০/ অধ্যায় ৩৩/ শ্লোক নং ১৯-২১ )
কৃষ্ণ যমুনার কর্পূর সমান উদ্জ্বল বালুতটে গোপীদের নিয়ে উপস্থিত হলেন । এই স্থান জল তরঙ্গে শীতল ও কুমুদিনীর সুগন্ধে সুবাসিত ছিল । সেখানে কৃষ্ণ গোপীদের সঙ্গে রমন করলেন ।
বাহু বিস্তার করে আল­িঙ্গন করা , গোপীদের হাতের চাপ দেওয়া , তাদের শিখা ধরা, উরুতে হস্তাবলেপ , সায়ার দড়ি ধরে টান­ দেওয়া, স্তন ধরা, রসিকতা করা, নখ দিয়ে অঙ্গ ক্ষতবিক্ষত করা , মৃদু হাসি হাসা এবং এইসব ক্রীড়া দ্বারা নবযৌবনা কবিদের মধ্যে কামদেব কে জাগ্রত করে কৃষ্ণ রাতে রমন ( ভোগ) করলেন । (ভাগবত পুরাণ স্কন্ধ ১০/ অধ্যায় ২৯/ শ্লোক নং ৪৫-৪৬ ) ‌
এই হলো মহাপুরাণ শ্রীমদ্ভাগবতের রাসলীলার বিবরণ । কোন সভ্য সমাজ এই অশ্লীল কুরুচিপূর্ণ কাহিনী গুলো কে গ্রহন করতে পারে না । আর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নামে এমন দোষারোপ করা যে তিনি এমন লীলা করেছিলেন , ইহা মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয় । শ্রীকৃষ্ণের চরিত্র অতি উজ্জ্বল , তাকে মহাভারতে যোগীরাজ যোগেশ্বর বলা হয়েছে , অতএব তার নামে এমন মিথ্যা দোষারোপ করা যে তিনি রাসলীলা করেছিলেন , এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ।

সমুদ্রপুত্র রাজা গৌড় গোবিন্দ ও শ্রীহট্ট

  সিলেটের   ‎ গৌড় গোবিন্দ এবং আজকের   ‎ শাহজালাল বিভিন্ন তথ্যপঞ্জী এবং পরবর্তিতে আবিষ্কৃত তাম্রফলক ও শিলালিপি থেকে সিলেটের প্রাচীন ইতিহাস স...

Popular Posts