পশূনাং
পতিং পাপনাশং পরেশং
গজেন্দ্রস্য কৃত্তিং বসানং বরেণ্যম্।
জটাজূটমধ্যে
স্ফূরদগাঙ্গ্যবারিং
মহাদেবমেকং স্মরামি স্মরারিম্।।১
মহেশং
সুরেশং সুরারাতিনাশং
বিভূম বিশ্বনাথং বিভুত্যঙ্গভূষম্।
বিরূপাক্ষমিন্দ্বর্কবহ্নিত্রিনেত্রং
সদানন্দমীড়ে প্রভুং পঞ্চবক্ত্রম্ ।।২
গিরীশং
গণেশং গলে নীলবর্ণং
গবেন্দ্রাধিরূঢ়ং গুণাতীতরূপম্।
ভবং
ভাস্বরং ভস্মনা ভূষিতাঙ্গং
ভবানিকলত্রং ভজে পঞ্চবক্ত্রম্।।৩
শিবাকান্ত
শম্ভো শশার্ধমৌলে
মহেশান শূলিন্ জটাজূটধারিন্।
তমেকো
জগদ্ব্যাপকো বিশ্বরূপঃ
প্রসীদ প্রসীদ প্রভো পূর্ণরূপ।।৪
পরমাত্মানমেকং
জগদ্বীজমাদ্যং
নিরীহং নিরাকারমোঙ্কারবেদ্যম্।
যতো
জায়তে পাল্যতে যেন বিশ্বং
তমিশং ভজে লীয়তে যত্র বিশ্বম্।।৫
ন
ভূমির্ন চাপো ন বহ্নির্ন ন বায়ু-
র্ন চাকাশমাস্তে ন তন্দ্রা ন নিদ্রা।
ন
গ্রীষ্মো ন শীতং ন দেশ ন বেশো
ন যস্যাস্তি মূর্তিস্ত্রিমূর্তিং
তমীড়ে।।৬
অজং
শাশ্বতং কারণং কারাণানাং
শিবং কেবলং ভাসকং ভাসকানম্।
তুরীয়ং
তমঃপারমাদ্যন্তহীনং
প্রপদ্যে পরং পাবনং দ্বৈতহীনম্।।৭
নমস্তে
নমস্তে বিভো বিশ্বমূর্তে
নমস্তে নমস্তে চিদানন্দমূর্তে।
নমস্তে
নমস্তে তপোযোগগম্য
নমস্তে নমস্তে শ্রুতিজ্ঞানগম্য।।৮
প্রভো
শুলপাণে বিভো বিশ্বনাথ
মহাদেব শম্ভো মহেশ ত্রিনেত্র।
শিবাকান্ত
শান্ত স্মরারে পুরারে
তেদেন্যো বরেণ্যো ন মান্যো ন গণ্যঃ।।৯
শম্ভো
মহেশ করুণাময় শূলপাণে
গৌরীপতে পশুপতে পশুপাশনাশিন্।
কাশীপতে
করুণয়া জগদেতদেক-
স্ত্বং হংসি পাসি বিদধাসি
মহেশ্বরোহসি।।১০
তত্ত্বো
জগদ্ভবতি দেব ভব স্মরারে
ত্বযেব তিষ্ঠতি জগন্মৃড় বিশ্বনাথ।
ত্বযেব
গচ্ছতি লয়ং জগদেতদীশ
লিঙ্গাত্মক হর চরাচরবিশ্বরূপিন্।।১১
সরলার্থঃ
যিনি
পশুগণের পতি ও পাপনাশকারী পরমেশ্বর, যিনি বরেণ্য ও গজচর্ম পরিধান করিয়া থাকেন,
যাঁহার জটাসমূহমধ্যে গঙ্গাবারি তরঙ্গায়িত, সেই অদ্বিতীয় মদনভস্মকারী মহাদেবকে
স্মরণ করি ।১
যিনি
মহেশ্বর, দেবগণের ঈশ্বর এবং দেবগণের শত্রনাশক, যিনি বিভূ, বিশ্বনাথ এবং ভস্ম
যাঁহার অঙ্গের ভূষণ, যিনি বিরূপাক্ষ এবং চন্দ্র, সূর্য ও অগ্নি যাঁহার ত্রিনেত্র,
সেই পঞ্চমুখ সাদানন্দ প্রভুকে স্তুতি করি ।২
যিনি
গিরীশ ও প্রমথগণের পতি, যাঁহার কন্ঠ নীলবর্ণ, যিনি বৃষভ্রাজে আরূঢ় ও গুণাতিত, যিনি
ভব ভাস্বর ভস্মভূষিতাঙ্গ এবং ভবানীপতি, সেই পঞ্চবদনকে ভজনা করি।৩
হে
উমাপতি, হে শম্ভু, হে অর্ধচন্দ্রমৌলি, হে মহেশ্বর, হে শূলি, হে জটাজূটধারি তুমি
একমাত্র জগদ্ব্যাপী এবং বিশ্বরূপ; হে পূর্ণসরূপ, হে প্রভু তুমি প্রসন্ন হও।৪
যিনি
পরমাত্মা, অদ্বিতীয়, জগদ্বীজ, আদ্য, নিরীহ , নিরাকার এবং ওঙ্কার বেদ; যাঁহা হইতে
জগৎ জাত হয়; যাঁহার দ্বারা পালিত হয় এবং যাঁহাতে লীন হয়; সেই ঈশ্বরকে ভজনা করি।৫
যিনি
ভূমি নহেন, জল নেহেন, অগ্নি নহেন, বায়ু নহেন, এবং আকাশ নহেন; যাঁহার তন্দ্রা নাই,
নিদ্রা নাই,গ্রীষ্ম নাই, শীত নাই, দেশ নাই, গৃহ নাই এবং যাঁহার কোনও মূর্তি নাই;
সেই ত্রিমূর্তিধারীকে পূজা করি।৬
যিনি
জন্মরহিত, শ্বাশত কারণসমূহেরও কারণ; যিনি শিব(মঙ্গলস্বরূপ), স্ব-স্বরূপে বর্তমান
সমস্ত জ্যোতির জ্যোতি; যিনি তুরীয়; যিনি অন্ধকারের অতীত এবং আদি, অন্তহীন, আমি সেই
দ্বৈতবিহীন পরম পাবনের শরণ লই।৭
হে
বিশ্বরূপধারী বিভু, তোমাকে বারংবার নমস্কার কর; চিদানন্দরূপী তোমাকে বারংবার
নমস্কার, তপস্যা ও যোগের অধিগম্য তোমাকে বারংবার নমস্কার;
বেদজ্ঞানের
দ্বারা জ্ঞেয় তোমাকে বারংবার নমস্কার।৮
হে
প্রভু,হে শূলপাণি, হে বিভু, হে বিশ্বনাথ, হে মহাদেব, হে শম্ভু, হে মহেশ, হে
ত্রিনেত্র, হে শিবাকান্ত, হে শান্ত, হে মদনারি, হে ত্রিপুরারি, তোমা অপেক্ষা কেহ
বরেণ্য, মাণ্য বা গণ্য নাই।৯
হে
শম্ভু, হে মহেশ, হে করুণাময়, হে শূলপাণি, হে গৌরিপতি, হে পশুপতি, হে
জীববন্ধননাশি,হে কাশীনাথ, একমাত্র তুমিই করুণাবশত; এই জগতের ধ্বংস, পালন ও সৃজন
করিতেছ। তুমিই মহেশ্বর।১০
হে দেব,
হে ভব, হে স্মরারি,তমা হইতেই জগৎ হইয়া থাকে; হে মৃ্ড়, হে বিশ্বনাথ , তোমাতেই জগৎ
অবস্থান করে; হে ঈশ, হে হর, হে চরাচর-বিশ্বরূপী, -লিঙ্গরূপী তমাতেই এই জগৎ
লয়প্রাপ্ত হয়।১১