Sunday, May 26, 2019

কে এই করপাত্রীজী? আর গো-রক্ষা???






সালটা 1966, একদিকে ইন্দিরা ও তার কংগ্রেজ সরকারে আসার পর, গো-রক্ষা বিষয়ক পূর্বপ্রদত্ত প্রতিশ্রুতি মিথ্যায় পর্যবসিত হলো। তৎকালীন প্রসিদ্ধ মহাত্মাদের আশীর্বাদ নেওয়ার সময় গো-রক্ষার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ইন্দিরা, তা ক্ষমতায় আসার পর অস্বীকার করলেন। এমত অবস্থায় উত্তাল হয়ে উঠল সন্ত সমাজ। আর বিলম্ব নয়, রামরাজ্য পরিষদ গড়ে তুললেন এক প্রগার পন্ডিত, মহাতপা, নির্বিকল্প সমাধিপদ প্রাপ্ত দশনামি সন্যাসী।। গোরক্ষা আন্দোলনের নেতৃত্বদাতা সেই সন্তসেনাপতির নেতৃত্বে সর্বপ্রথম গো-রক্ষার দাবিতে সাধু-সন্তরা ঘিরে ফেলল সংসদ-ভবন। ইন্দিরা-কংগ্রেজ তাঁকে শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্য তার চোখের সামনে শতশত গরু ও সন্তকে গুলি করে মেরে রক্তাক্ত করলো ইন্দিরা কংগ্রেজ। ঐ দিনটা ছিল ২০১২ বিক্রমীসন কার্তিকি শুক্ল অষ্টমী বা গোপা অষ্টমী।।সেই সন্তনেতা প্রসিদ্ধমহাত্মা সন্যাসিকেও একাধিকবার নিক্ষেপ করাহল জেলে। শুধু এখানেই থামল না; গেলে দেওয়া হলো তার একটি চোখ।। সেই মহাত্মা সন্ন্যাসীর কথা কি কেউ জানেন?... নাঃ!... 'আমরা যে অপদার্থ বাঙালি', 'ঈগোসেন্ট্রীক হিন্দু কাঙালী'। না জেনেছি না পরোয়া করি গাইজ। শুধু সাধু-সন্ত দেখে টোন-টিটকারি করি। সেকুলার ভন্ড সাধু সুরসুরে সেক্সি কথা বললেই তার পেছন চাটি, তাদের পাপের আখড়ায় পয়সা ঢালি।
আদি শঙ্করাচার্যের প্রতিষ্ঠিত 2500 বছরের পরম্পরার ব্যাসপিঠ গুলির নাম জেনেও কাম কি!! আর ক্লাসের ইতিহাস বইতে আদি শংকরাচর্যের কথা তো নেই!!তাই জানিনা!
অথচ তার দশনামি সম্প্রদায়ের সন্যাসী কেশবভারতী কর্তৃক দীক্ষিত বাঙালি শ্ৰীচৈতন্যের ভাবকেন্দ্রিক বিকৃত ইতিহাস, দশনামি সন্যাসী তোতাপুরী শিষ্য রামকৃষ্ণের অতিরঞ্জিত জীবনপাত সম্পর্কে জানি!ওহ! না না কেশব_ভারতী , তোতা পুরী, দশনামি, দশনামির প্রতিষ্ঠাতা আচার্য শঙ্কর!! এত দূর জেনে কি হবে? বইতে নেই পরীক্ষাতেও আসেনা।
বৌদ্ধ-চার্বাকদের বৈদিক অদ্বৈতদর্শনের যুক্তিবলে উৎখাত করে যেই আচার্য শংকর ভারতে সনাতন ধর্মের ভিত্তি সুদৃঢ় করেছিল, সনাতনী ছত্র ছায়ায় ফিরিয়ে এনেছিল সর্ব ভৌম সম্রাট শুধনকে ও তার সাথে সহস্র বিপথগামী মানুষকে, সেই শিবকল্পযোগী আদিশঙ্কর যে কে, কিই বা তার কৃতিত্ব, তাই জানিনা।
হায়! ধিক! বাঙালি তোমাদের ধ্বংস আটকায় কে? তোমরা শুধু টাকার গোলাম।।

গোরক্ষা আন্দোলনের এই মহাতপা পন্ডিত বীর সৈনিক সন্যাসী হলেন আদি শঙ্করাচার্য প্রতিষ্ঠিত ব্যাসপিঠ গোবর্ধন মাঠের নির্বিকল্পসমাধিপদ প্রাপ্ত করপাত্রীজী মহারাজ।
 এই মহাত্মা কংগ্রেজ সরকারের সন্ত ও গো-নিধনের পাশবিকতা দেখে অভিশাপ দিয়েছিলেন ইন্দিরাসরকারকে; ঠিক এই গোপা অষ্টমী তিথিতে সেও এই ভাবে ধ্বংস হবে, তাঁর শরীরও একাধিক গুলিতে ঝাঁজরা হবে, তার বংশের বাকিরাও ওই তিথিতেই মরবে এবং তার পরিবারতন্ত্র শেষ হয়ে একদিন একজন সর্বত্যাগী, ভারতের রাষ্ট্রনায়ক হয়ে এসে হিন্দুর অধিকার রক্ষা করবেন। এই মহাতপা শঙ্করপন্থী বীর সন্ন্যাসী করপাত্রীজীর শিষ্য বর্তমান গোবর্ধন মঠ পুরীপিঠাধীশ শঙ্করাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ স্বরস্বতী।
করপাত্রীজীর কৃতিত্বএখানেই শেষ নয়। তিনি রাজনীতি বিষয়ক লিখেছেন বহু বই।। তুলনা মূলক রাষ্ট্রনীতি-সমাজনীতি, রামরাজ্য বনাম মার্ক্সবাদ, উমাপত্তনামের মতন দুর্বোধ্য অসামান্য সংষ্কৃত সংগীত শাস্ত্র-গ্রন্থের প্রথম ভাষ্য দেন, গণিত বিষয়ক গ্রন্থ, এবং রামায়ণ মীমাংসার মতন আরো বেশ কিছু গ্রন্থ তাঁর সুমহান কৃতিত্ব কে উজ্বল করে রেখেছে। দুঃখের বিষয় তার এ সকল কৃতিত্ব ভারতে নয় বিদেশেই বেশি চর্চিত। কংগ্রেজ সরকার তার রচিত বইয়ের ওপরেও ব্যান লাগিয়েছিল। যদিও বর্তমান সরকারের সৌজন্যে মঠ কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে।

ইন্দিরা কংগ্রেজ পূজ্যপাদ করপাত্রীজীকে শুধু বরংবার হাজত বাস-ই নয়, হাজতে ওনার চোখে গরম শিখ ঢুকিয়ে একটি চোখ গেলে দিয়েছিল।
তবে ব্রহ্মস্থিত মহাতপার অভিশাপ কিন্তু বিফলে যায় না...

✔️একটু মিলিয়ে নিন এবার সঞ্জয় গান্ধী মরলো আকাশ পথে। তিথিটা ছিল (১৯৮০)- গোপা_অষ্টমী।

✔️ ইন্দিরা গান্ধী মরলো আকাশ পথে। তিথি ছিল ( ১৯৮৪)- গোপা_অষ্টমী।

✔️রাজীব গান্ধী মরলো আকাশ পথে। তিথি ছিল (১৯৯১)- গোপা_অষ্টমী।

ওই দিনের পাশবিক নির্ণমতা ও গুরুর প্রতি ঐ রকম পৈশাচিক অত্যাচার সহ্য করেন নি নিশ্চলানন্দ, আজও শংকরমঠ গোবর্ধন ব্যাসপিঠ থেকে ক্রমাগত হিন্দুত্ব রক্ষা, গোমাতার রক্ষার জন্য লড়ে যাচ্ছেন নিশ্চলানন্দ সরস্বতী।।

ভিডিওটি দিলাম কষ্ট করে নষ্ট করার মতো সময় হাতে থাকলে দেখবেন, এই আসা রাখি:-
(করপাত্রী জী রেয়ার ভিডিও ফুটেজ সহ)
Video link:- https://www.youtube.com/watch?v=D5VgSUbw61M

সমুদ্রপুত্র রাজা গৌড় গোবিন্দ ও শ্রীহট্ট

  সিলেটের   ‎ গৌড় গোবিন্দ এবং আজকের   ‎ শাহজালাল বিভিন্ন তথ্যপঞ্জী এবং পরবর্তিতে আবিষ্কৃত তাম্রফলক ও শিলালিপি থেকে সিলেটের প্রাচীন ইতিহাস স...

Popular Posts