Wednesday, August 19, 2020

শিব এবং শিব নাম নিয়ে কৃৈষ্ণবদের ভন্ডামি বৈষ্ণব পুরান থেকে প্রমান।

 শিব নাম নিলে বা শিব নিয়ে কিছু প্রকাশ করলেই যেন কৃৈষ্ণবদের শরীর জ্বালা করে। আর করবে নাই বা কেন বলুন, কারন এরা তো দক্ষেরই অবতার এই কলিতে। এরা যে ঘোর পাপী এবং ভন্ড তা আমি না ক্ষোদ শাস্ত্র বলছে। আমার ব্লগ নিয়েও এঁদের চুলকানীর শেষ নেই। কারণ আমি যা যা লিখেছি এরা এর কিছুই উল্টাতে পারে না। তাই আমার বানান নিয়ে লেগেছে। 

যাইহোক আসুন কিছু আলোচনা করা যাক এঁদের নিয়ে। প্রথমেই আসছি সৌর পুরাণ নিয়ে। 

কলিকালে বৈষ্ণব চরিত্রঃ

কলিকালে মধুদর্শিতা পথানুসারী পাপিষ্ঠ বৈষ্ণব অনেক হইবে'অনন্তর জাতিভ্রষ্ট শূদ্র-ম্লেচ্ছাগণ এই বৈষ্ণব পথাবলম্বী হইবে।

(সৌরপুরাণ-৩৯/৭৯)।


বলা বাহুল্য এইখানে সমগ্র বৈষ্ণবগোষ্ঠিকে কিছু বলা হচ্ছে না। বরং ভন্ডদের নির্দেশ করতে এই কথা বলা হচ্ছে। অর্থ্যাৎ ভন্ডরা নিজেদের বৈষ্ণব বলে আখ্যায়িত করবে। কিন্তু আসলে এরা বৈষ্ণব না। এরা হল কলির চর। যারা মধু মাখা হরি নাম( আদতে শ্রী হরির নাম না) বিক্রি করে মানুষকে বিভ্রান্ত করবে এবং মানুষকে শাস্ত্র বিমুখ তথা ধর্ম বিমুখ করবে। এই গৌড়িয় কৃৈষ্ণব সম্প্রদায় তাই করছে এর মাঝে ইস্কন অন্যতম। 

এবার আসি অন্যতম এক স্মৃতি শাস্ত্র অত্রি সংহিতা নিয়ে। মনু সংহিতার পরেই এই সংহিতার স্থান যা ঋষি অত্রি বলেছেন। সে সংহিতার ৩৭৫ নং শ্লোক দেখুন। স্ক্রীনশট। মূর্খরা বেদ পাঠে বিফল হলে পুরাণ পড়ে। সেটাতেও বিফল হলে কৃষিকাজে নিযুক্ত হয়।এতেও বিফল হলে ভন্ড বৈষ্ণব ধর্ম অবলম্বন করে। অর্থ্যাৎ যেইগুলা সমাজের চরম অকর্মণ্য এইগুলাই এই ভন্ড বৈষ্ণব ধর্ম অর্থ্যাৎ কৃৈষ্ণববাদে ঝুকে ইস্কনে যায়।   


কিন্তু এর মানে কি সব বৈষ্ণব খারাপ?? মোটেই না। এখানে তাৎপর্য হল। ভন্ডরাই বৈষ্ণববাদ কে ব্যাবহার করে নিজেদের টাকা ইনকামের ধান্দা করবে। ইস্কন বা গৌড়ীয় কৃৈষ্ণব সম্প্রদায় তা-ই করছে। কাজেই বুঝতেই পারছেন এটা আমার কথা না শাস্ত্র বচন যে এই ইস্কনীরা চরম ভন্ড। 

এবার আসি আমার মুল প্রসঙ্গে । কৃৈষ্ণবরা নিজেদের অবস্থান পাকা পোক্ত করার জন্য সহজ সরল শাস্ত্র না জানা হিন্দুদের টার্গেট করে। আর এর জন্যই এরা বিভিন্ন বৈষ্ণব পুরাণের অর্ধেক শ্লোক আওড়িয়ে বলে এরাই একমাত্র ঠিক। এই ক্ষেত্রে এরা বৃহদনারদীয় পুরাণের একটা শ্লোক আওড়ায় কিন্তু এরপর আর কিছুই বলে না। যেমনঃ

হরের্নাম হরের্নাম হরের্নামৈব কেবলম।


কলৌ নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব গতিরন্যথা।


সরলার্থঃ এই কলিযুগে কেবল হরির নাম, হরির নাম, হরির নামই একমাত্র আছে। এই ছাড়া আর কোনও গতি নেই , আর কোনও গতি নেই, আর কোন গতি নেই।

বৃহদনারদীয় পুরান। পূর্বভাগ ৪১ অধ্যায় , ১১৫ নং শ্লোক। (বিষ্ণু নাম মহিমা) গীতাপ্রেস কতৃক সংস্কৃত পুরান থেকে।


কিন্তু এই চতুর এবং চালাক দক্ষের অনুচরেরা এর পরের শ্লোক বলে না আর নিজেদের বইয়ে দেখায় না। আসুন শ্লোকগুলো দেখে নেই। 

আমরা জানি নারায়নের হাজার নাম, উনি অনন্ত বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের পালন কর্তা তথা শিবাংস। মানে উনি আর শিবে ভেদ নেই।তো এইখানে হরির নাম বলতে কোথায় ওদের উপনিষদের বিকৃত মন্ত্র বলা আছে?? সেরকম কিছুই এই পুরানে আছে? দেখে নিচ্ছি। 

একই অধ্যায়ের ১০৭নং শ্লোকে প্রভু বিষ্ণুর সেই নাম বলা হচ্ছে যা নিলে আমাদের কলির প্রভাব কাটবে। হরি, কেশব, গোবিন্দ, বাসুদেব জগন্ময়।।

ইতি রয়ন্তি এ নিত্যমনহি বাধতে কলিঃ

সরলার্থঃ এই নাম গুলো ব্যাক্তি যদি জপ করে , বা স্বরন মনন করে তাহলে কলি তাঁকে বাধা প্রদান করেন না। 

পাঠক, এখানে ওদের বিকৃত নাম যা তাঁরা হরি নাম বলে চালায় সেটা কই? 

এবার আসি পরের যুক্তিতে যা এই গৌড়িয় কৃৈষ্ণবরা কখনও দেখায় না। 

 একই অধ্যায়ের আরেক শ্লোক ১০৮ কি বলছে?

শিব শংকর রুদ্রেশ নিলকন্ঠ ত্রিলোচন

ইতি জপন্তিয়ে ইয়াপি

কলি স্তন্যাপিবাধতে

সরলার্থঃ শিব শংকর রুদ্রেশ নিলকন্ঠ ত্রিলোচন এই নামগুলো যে জপেন কলি তাঁদেরকেও বাধা দেন না।

এবার ১১২ নং শ্লোকে আসুন

হরির নাম স্বরণ করা ব্যাক্তি এবং শিব নাম স্বরন করা ব্যাক্তির সকল মনকামনা পূর্ণ হয়ে যায়। 


স্ক্রীনশটে দেখেতেই পাচ্ছেন শাস্ত্র বচন কি। 

এরা সাধারণত শিব প্রসাদ খায় না। বা শিবকে কৃষ্ণের উচ্ছিষ্ঠ ভোগ লাগায় এবং পরে সেটা গ্রহণ করে। মানে শিব এঁদের কাছে কোন পরমেশ্বরই না। এঁদের শিব বিদ্বেষ চরম মাত্রায় এবং এরাই যে দক্ষের অবতার সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু বৈষ্ণব পুরান বা নারদ বানী কি তাই ? আসুন একই পুরান থেকে নারদের মুখের কথা দেখে নেই। 

কলি কালে কি শিব পূজা পাপ? 




মানে, কলিতে যে নারায়ণ পূজা বা শিব পূজা করবে কলি তাঁকেও স্পর্শ করবে না। এবং জীব যে শিব পূজা করবে সে শিব তুল্য হবে। 

এই পুরানেও হরি এবং হর অভেদ তত্ত্ব আনা হয়েছে। এমনকি মহাদেব পরমেশ্বর শিবকে সাক্ষাৎ ঈশ্বর বলা হয়েছে। স্ক্রীনশট।

১১৫ নং সেই শ্লোকের আগে কি বলা আছে দেখুন। স্ক্রীনশট। 




২য় স্ক্রীনশট দেখুনঃ 







মানে হর -হরি অভেদ যে মানে সেই সাধু বলার যোগ্য এবং যে শিব বিষ্ণু এক তত্ত্ব মানে তা এই ঘোর কলিতেও পূন্য লাভ হয়।
এবার পাঠক, আপনারা বলুন। ইস্কন তথা গৌড়ীয় সমাজ কি দেবর্ষী নারদের থেকে উর্ধ্বে ? এরা কি এমন সাধু যে নারদের কথার উপেক্ষা করে শিব অপমান করে এবং শিবকে কৃষ্ণ থেকে আলাদা করে?? 
অত্রি সংহিতা এবং সৌর পুরাণের বচন অনুযায়ী এরাই যে মহা পাপী এবং ঘোর কলির চর এতে কি আর সন্দেহ রইলো?? 

এঁদের হিন্দু সমাজ থেকে সামাজিকভাবে বয়কট করুন। তবেই সমাজ এবং জাতির মঙ্গল। 

ইস্কন নিপাত যাক 

সনাতন মুক্তি পাক।

হর হর মহাদেব। 


শিব রাম নাম করেন তাহলে শিব কি রামের থেকে ছোট?

 সম্প্রতি রামায়েতদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রচুর রামায়েতের দেখা পাওয়া যাচ্ছে যারা শ্রীরাম চন্দ্রকে উপরে তুলতে গিয়ে পরমেশ্বর শিবকে ছোট করছেন...

Popular Posts