গণেশের সাধনা করে জীবনের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব। গণেশের কৃপালাভ করলে সমস্ত কাজেই সিদ্ধিলাভ হয়। পুরাণে বলা হয়েছে যে, গণেশজির ১২টি নামের অসীম মাহাত্ম্য। এই ১২টি নামের সঙ্গে ১২টি রাশি যুক্ত। এখন দেখে নেওয়া যাক আপনার রাশি অনুযায়ী কে কোন মন্ত্র পাঠ করবেন ---
রাশি গণেশজির নাম গণেশজির মন্ত্র
--- ---- ------ ------ ----- ---- ------ --- ----- -----
--- ---- ------ ------ ----- ---- ------ --- ----- -----
মেষ -- বক্রতুণ্ড -- ওঁ বক্রতুণ্ডায় নমঃ
বৃষ -- একদন্ত -- ওঁ একদন্তায় নমঃ
মিথুন -- কৃষ্ণপিঙ্গাক্ষ -- ওঁ কৃষ্ণপিঙ্গাক্ষায় নমঃ
কর্কট -- গজবক্ত্র -- ওঁ গজবক্ত্রায় নমঃ
সিংহ -- লম্বোদর -- ওঁ লম্বোদরায় নমঃ
কন্যা -- বিকট -- ওঁ বিকটায় নমঃ
তুলা -- বিঘ্নরাজেন্দ্র -- ওঁ বিঘ্নরাজেন্দ্রায় নমঃ
বৃশ্চিক -- ধূম্রবর্ণ -- ওঁ ধূম্রবর্ণায় নমঃ
ধনু -- মহোদর -- ওঁ মহোদরায় নমঃ
মকর -- বিনায়ক -- ওঁ বিনায়কায় নমঃ
কুম্ভ -- গণপতি -- ওঁ গণপতয়ে নমঃ
মীন -- গজানন -- ওঁ গজাননায় নমঃ
ক্রিয়াটি কী ভাবে সম্পন্ন করবেন --- প্রথমে শ্রী গণেশের পূজা করুন। তারপর প্রতি দিন প্রথমে উপরে লেখা ১২টি গণেশ-মন্ত্র এক বার করে পাঠ করুন। তার পর আপনি আপনার রাশি অনুসারে গণেশজির মন্ত্র ১০৮ বার জপ করুন। ভক্তিভরে এই ভাবে জপ করলে জীবনের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব।
-
-
গণেশের ধ্যান –
“খর্বং স্থূলতনুং গজেন্দ্রবদনং লম্বোদরং সুন্দরং
প্রস্যন্দন্মদ্গন্ধলুব্ধমধুপব্যালোলগণ্ডস্থলম্।
দন্তাঘাতবিদারিতারিরুধিরৈঃ সিন্দূরশোভাকরং
বন্দে শৈলসুতাসুতং গণপতিং সিদ্ধিপ্রদং কামদম্।।”
প্রস্যন্দন্মদ্গন্ধলুব্ধমধুপব্যালোলগণ্ডস্থলম্।
দন্তাঘাতবিদারিতারিরুধিরৈঃ সিন্দূরশোভাকরং
বন্দে শৈলসুতাসুতং গণপতিং সিদ্ধিপ্রদং কামদম্।।”
------- অর্থাৎ, “যিনি খর্বাকৃতি, স্থূলশরীর, লম্বোদর, গজেন্দ্রবদন অথচ সুন্দর; বদন হইতে নিঃসৃত মদগন্ধে প্রলুব্ধ ভ্রমরসমূহের দ্বারা যাঁহার গণ্ডস্থল ব্যাকুলিত; যিনি দন্তাঘাতে শত্রুর দেহ বিদারিত করিয়া তাহার দন্ত দ্বারা নিজ দেহে সিন্দূরের শোভা ধারণ করিয়াছেন; সেই পার্বতীপুত্র সিদ্ধিদাতা ও কামদাতা গণপতিকে বন্দনা করি।”
গণেশের প্রণামমন্ত্র –
"একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদরং গজাননং।
বিঘ্ননাশকরং দেবং হেরম্বং প্রণমাম্যহম্।।"
বিঘ্ননাশকরং দেবং হেরম্বং প্রণমাম্যহম্।।"
--------- অর্থাৎ, “যিনি একদন্ত, মহাকায়, লম্বোদর, গজানন এবং বিঘ্ননাশকারী সেই হেরম্বদেবকে আমি প্রণাম করি।”
গণেশের প্রার্থনামন্ত্র –
দেবেন্দ্রমৌলিমন্দারমকরন্দকণারুণাঃ।
বিঘ্নং হরন্তু হেরম্বচরণাম্বুজরেণবঃ।।
বিঘ্নং হরন্তু হেরম্বচরণাম্বুজরেণবঃ।।
---------- অর্থাৎ, “দেবরাজ ইন্দ্রের মস্তকে বিরাজিত মন্দারপুষ্পের পরাগসমূহের দ্বারা রক্তিম হেরম্বের পাদপদ্মের রেণুসমূহ আমার বিঘ্নহরণ করুক।”