Sunday, January 7, 2018

পবিত্র বেদে ঔষধ বিজ্ঞান





ঋগ্বেদ।১০/৯৭/১থেকে ১০/৯৭/২৩ পর্যন্ত
নিচে প্রধান কয়েকটি উল্লেখপুর্বক বিশ্লেষন করা হলো।
ঔষধি দেবতা। ভিষ্ক ঋষি।অনুষ্টুপ ছন্দ।
১০/৯৭/১
যা ওষধীঃ পূর্কা জাতা দেবেভ্যস্ত্রিযুগং পুরা।
মনৈ নু বভ্রুনামহং শতং ধামানি সপ্ত চ।।
অনুবাদঃ হে মনুষ্যজাতী যুগযুগ ধরে এই ঔষধি প্রকৃতির নিয়মে আমি ঈশ্বর জগতে সৃস্টি করেছি সে সকল পিঙ্গল বর্নের ওষধি একশত সপ্ত স্থান বিদ্যমান। তোমরা এরুপ জ্ঞান করো,এবং অন্বেষণ করো।
১০/৯৭/২
শতং বো অম্ব ধামানি সহস্রমুত বো রুহঃ
অধা শতক্রত্বো যুয়মিমং মে অগদং কৃত।
অনুবাদ: ঔষধ হলো জননী সরুপা।তোমরা( মনুষ্যরা) মৃত্তিকাতে রোহন করো( উৎপন্ন করো)। ঔষধ শত বা সহস্র প্রকার বা স্থান রয়েছে।ঔষধের ক্রিয়াও ভিন্ন ভিন্ন শত সহস্র প্রকার।তোমরা আরোগ্য বিধান করো।
১০/৯৭/৬
যত্রৌষধিঃ সমগ্মত রাজানঃ সমিতাবিব
বিপ্রঃ স উচ্যতে ভিষগ্রক্ষোহামীবচাতন।।
যেমন রাজাগন যুদ্বে একত্র হয় তেমনি যে ব্যাক্তি বিভিন্ন প্রকার ঔষধি এক জায়গায় যুক্ত করেন এবং নতুন নতুন ঔষধ তৈরী করেন,সে বুদ্বিমান তাকে ভিষক বা ঔষধবিজ্ঞানী বা চিকিৎসক বলে। তারা দ্বারা রোগের বিনাশ হয়।
১০/৯৭/১০
অতি বিশ্বাঃ পরিস্ঠাস্তনঃ ইব ব্রজমক্রমুঃ
ওষধী প্রাচুচ্যবুর্যৎ কিন্চ তন্বরোপ।।
অনুবাদঃ যে রুপ চোর যেমন গোস্ঠ অতিক্রম করে তেমনি বিশ্বব্যাপি সর্বত্রগামী ঔষধি গন রোগ অতিক্রম করে। শরীরে যা কস্ট বা পীড়া থাকে তা ঔষদিগন দুরিভুত করে।
১০/৯৭/১২
যস্যেষধীঃ প্রসর্পথাঙ্গমঙ্গং পুরুচপর
ততো যক্ষাং বি বাধব্ব উগ্রো মধ্যমশীরিব।।
অনুবাদঃ যে রুপ বলবান ও মধ্যার্তী ব্যাক্তি সকলকে আয়ত্ত করেন সেরুপ হে ঔষধি তোমাদের সেবনের পর তোমরা ( ঔষধীরা) অংগ প্রত্যঙ্গ ও গ্রন্থিতে গ্রন্ন্থিতে বিচরন করে ঐ বাক্তির যে সকল স্থাননে রোগ তা নির্মুল করো।
১০/৯৭/১৫
যাঃ ফালিনীর্যা অফলা অপুস্পং যাশ্চ পুস্পিনীঃ
বৃহস্পতিপ্রসূতাস্তা নো মুন্চনত্বংহসঃ।।
অনুবাদঃ হে মনুষ্যজাতী,, যে সকল বৃক্ষ ফলবতী বা ফলবাতী নয়,যে সকল বৃক্ষ পুস্পবতী বা পুস্পবতী নয় ( অপুস্পক বা সপুস্পক) সকল প্রকার বৃক্ষে কিছুনা কিছু ঔষধিগুন রয়েছে।উহা তোমাদের রক্ষা করবে।
১০/৯৭/ ১৯
যা ওষধীঃ সোমরাজ্ঞীবির্স্ঠিতাঃ পৃথিবীমনু
বৃহস্পতিপ্রসুতা অস্যৈ সং দত্ত বীর্য়ম।।
অনুবাদঃ সোম সকল ঔষধির রাজা। ঔষধি পৃথীবির সকল স্থানে বিস্তৃত করা হয়েছে।এ সকল ঔষধি রোগীকে রোগমুক্ত করে বলবান করবে।এবং চিকিৎসক ঐ রোগের জন্য ঔষধি ব্যাবহার করবেন।
১০/৯৭/২০
মা বো রিষৎখনিতা যস্মৈ চাহং খনামি বঃ
দ্বিপচ্চতুস্পদস্মাকং সর্বমনস্ত্বনাতুরম্।।
অনুবাদঃ এই ঔষধি তোমরা রক্ষা করো যেনো নস্ট না হয়। তোমাদের যা কিছু আছে যেমন দ্বিপদ বা চতুস্পদ সকলে যেনো নিরোগ থাকে। তাদের জন্যও এ ঔষধি ব্যাবহার করো।
মন্ত্রগুলোর তাৎপর্যঃ
বেদ হলো সম্পুর্ন সংবিধান। পৃথীবিতে প্রথম একমাত্র বেদই ঔষধ বিজ্ঞানের ধারনা দেয়। আমরা কোথায় ঔষধ পাবো কিভাবে সংগ্রহ করবো, কিভাবে ঔষধ তৈরী করবো, কে তৈরী করবে, তার নাম কি হবে, কিভাবে ব্যাবহার করবো, ঔষধ শরীরে কিভাবে কাজ করবে ইত্যাদি সম্পুর্ন ভাবে বেদে বর্ননা করা হয়েছে।এমনকি শুধু মানুষের জন্য নয় ঔষধ দ্বিপদ প্রানী চতুস্পদ প্রানীদের ও ঔষধ ব্যাবহার করাতে বলা হয়েছে। ঔষধ সংরক্ষন করতে বলা হয়েছে। সকল ধরনের উদ্ভিদে যে না না রকম ঔষধি গুন রয়েছে তাও বর্ননা করা হয়েছে।
একমাত্র বেদই হলো আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের উৎস।ইহাতে কোনো সন্দেহ নাই।

সাকার উপাসনার কিছু রেফারেন্স

 নিরাকারবাদী এবং একদল বিধর্মীদের দাবি বেদাদি শাস্ত্রে প্রতিমা পূজা এবং সাকার উপাসনার উল্লেখ নেই। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বেদবিরুদ্ধ মূর্তিপূজা ক...

Popular Posts