ভারতের বিভিন্ন ধর্মীয়পন্থার ভিতরে শৈব ধর্মের ইতিহাস অতি প্রাচীন ।।
এই কথা বেদ সমূহের রচনাক্রম,বয়স আর কোন বেদে কোন দেবতাকে মুখ্য করা হয়েছিল তার থেকেই সম্যক নির্ণয় করা যায়। শৈব দর্শনের মতে শিব সমগ্র জগতের মূল,উনিই জগতের কারণ, কর্তা এবং বীর্যোৎপাদনের অধিকারী । পরম বীর্যপুরুষ যেইজন সেইজনই শিব।ঋগবেদোক্ত পরম ব্রহ্ম, অলক নিরঞ্জনই শিব ।
শিবই বিশাল চৈতন্যের আধার আর সমগ্র চরা--
চরের 'নাথ'।। ঋগ্বেদের দেবতা ব্রহ্মা রজোগুণা-
-ন্বিত এবং যথাক্রমে সাম এবং যজুর্বেদের দেবতা শিব-বিষ্ণু সত্বগুনধারী এবং প্রকৃত্যাতীত পরম পুরুষ।গণ ধর্মে উপাস্য পরম পুরুষ হিসাবে শিব এবং বিষ্ণুর প্রাধান্যতাই বেশী। রুদ্রদেবতার আর এক নাম শিব। রুদ্র সংহারকারী ।ব্রহ্ম বৈবর্তপুরাণে উনাকে কালাগ্নি রুদ্র বলা হয়েছে ।কালাগ্নিরুদ্র একাদশ
রুদ্রের মধ্যে একজন।উনিই ত্বমোগুণান্বিত এবং সৃষ্টি সংহারকারী।প্রকৃতই শিব পরম পুরুষ এবং
পরম ব্রহ্মে শুভ্র,শুদ্ধ এক সাকার রূপ মাত্র ।। তিনিই সর্ব্ব ব্যাপ্ত এবং সর্ব্ব শক্তিমান,"যত্র জীব তত্র শিব" । সুতরাং শিব আর বিষ্ণুর মধ্যে কোন
গুণগত পার্থক্য নাই।।
শিব কহে শুন শুন পার্বতী সুন্দরী ।
জিজ্ঞাসিলে যাহা তাহা কহিব বিস্তারি ।।
আমাতে বিষ্ণুতে ভেদ নাহিকো কখন।
যেই আমি সেই বিষ্ণু স্বরূপ বচন ।। আমাতে বিষ্ণুতে ভেদ কভু না করিবে।
কর্তব্য হইবে তবে জানিবে এ ভবে।।
অভেদে বিষ্ণুর সহ করিয়া বিচার ।
আমারে পূজিবে সদা সংসার মাঝার।।
(শিব পুরাণ, আত্মবোধ খন্ড)