#issgt_exposed
যারা বোঝার এরা বুঝে এদিকে আর যাবেন না। আর যারা চ্যালা এরা চ্যালাগিরি করুন আর কনফিউসড দল আরও কনফিউসড হন।
স্ক্রিনশট দ্রষ্টব্যঃ
আমার এই বক্তব্যঃ
যতটুকু খণ্ডন-মণ্ডনের সাথে জড়িত সম্পূর্ণটাই আমরা ঘেটে দেখেছি। এবং এই অন্তঃসারশূণ্য বক্তব্যের শেষ কথা এটাই -
১/ঠেকায় পড়লে ভাস্কর রায় এবং উৎপল দেব উভয়েই মান্য। অর্থাৎ খিচুড়ীবাদ তারা সমর্থন করে।
২/ তাদের দাবী মতে ভাস্কর রায় এবং উৎপল দেব এর মতামত এক - অর্থাৎ উভয়ে ভিন্নবাদ সমর্থন করলেও দিনশেষে রোহিতের খিচুড়ীবাদ রক্ষার জন্য তারা এক।
৩/ রোহিতের লাইভের বক্তব্যে প্রথমে শুরু হয়েছে - উভয় মত এক নয়। এরপর রোহিত আবার বক্তব্যের শেষে চেইঞ্জ করে বলছেন দুইটাই একই। এক মুখে এতকথা খিচুড়ী না খেলে বলা সম্ভব না।
৪/ রোহিত বলতে চাইছেন স্পন্দ ও প্রত্যভিজ্ঞা এক না হলেও দুই মতবাদ মান্য- উভয়েই কাশ্মীরি শৈব পরম্পরা অন্তর্ভুক্ত। নতুন করে মান্যতার কী আছে ঠিক বুঝলাম না। মাথা ডানে হেলিয়ে কথা বলে একবার বামে হেলিয়ে।
৫/শক্তির স্বরূপ জগত- বুঝলাম না। খায় না মাথায় দেয়?
৬/ বীর শৈব দর্শন ও ভাস্কর রায় সেইম- বুঝলাম না।
৭/স্বাতন্ত্র্য শক্তি শক্তি না দর্পণ - কি বলেন কিছুই বুঝি না।
৮/ স্বাতন্ত্র্য শক্তি বিনা বিম্বে প্রতিবিম্ব সিদ্ধ করালে আভাসের কী আছে তাও বুঝিনি, অর্থাৎ আপনার কথায় উৎপল দেবই না স্বয়ং খণ্ডিত হয়ে যান কিনা এই টেনশনে পড়ে গেলাম। স্বাতন্ত্র্য শক্তি পরিণামে অথবা আভাসে জগত প্রতিষ্ঠিত করেন কিনা সেসব আলোচনায় লেশ মাত্র নেই।
৯/ বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ বীরশৈবকে কী বলা যায় কি বলা যায় না - ভগবানই জানে আপনি কী বলতে চান। আমার আর বুঝে কাজ নেই।
১০/ মোদ্দা কথা হল ত্রিকের প্রচারের জন্য ভাস্কর রায় কেও ডাকা লাগে শ্রীকরকেও ডাকা লাগে শাক্ত শৈবের খিচুড়ী করা লাগে- সম্মানের তলে খিচুড়ী করে পাব্লিক খাওয়ান আর অদ্বৈতবেদান্তীকে ক্রিটিসাইজ করেন- এসব ছাগলামি ছেড়ে দেন।
১১/ এইবার আপনাদের গুরু পরম্পরা নিয়ে কোথায় কি বললেন ? আপনার চ্যালা তো বড় বড় বুলি ছাড়ছিল। পরুম্পরা কি আপনার? গুরু কে? কবে কখন, কোথায় দীক্ষা হয়েছে আপনার?
এই হল মাত্র কয়েক মিনিটের ভিডিওতে ভুল। পুরোটা দেখতে পারছি না কারণ কান থেকে রক্ত বের হচ্ছিল এর ভাট শুনে। আর আমাদের এত সময়ও নেই।
এইবার , সকলকে জানাতে চাইছিঃ
কাশ্মীর শৈব দর্শনের স্কলার যিনি কাশ্মীর শৈব দর্শনের বর্তমান অন্যতম শ্রেষ্ঠ পণ্ডিত এবং প্রফেসর দেবব্রত সেন শর্মা, ( যার বই থেকে রোহিত কপি পেষ্ট করেছিল), প্রফেসর নবজীবন রাস্তোগী মহাশয়ের সরাসরি শিষ্য , যিনি আবার ঈশ্বর আশ্রম ট্রাষ্ট ফেলোশিপ দ্বারা ভূষিত যা স্বামী লক্ষণ-Joo মহারাজ দ্বারা স্থাপিত । উনি সরাসরি বলেছেন এগুলো একটারও কোন কাশ্মীর শৈব দর্শনের ক ও জানে না। এমনকি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক কাশ্মীরি শৈব দর্শনের স্কলার( যিনি শৈব দর্শন নিয়ে পিএইচডি করছেন) তিনিও বলেছেন
" আমি যতটুকু এদের আর আপনার তর্ক দেখলাম তাতে মনে হল আপনার প্রতিপক্ষ কাশ্মীর শৈব দর্শনের কিছুই জানে না। আপনি যে লাইভে যান নাই এইটা বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন। কারণ মূর্খদের সাথে লাইভে যাবার দরকার নেই। আপনি ডকুমেন্ট আকারে যেভাবে চাইছেন সেভাবেই হোক সব। এতে আমাদের পড়তে আর বিতর্ক দেখতে সুবিধা। "
এইবার আপনারাই বোঝেন এরা কেন ডকুমেন্ট ছেড়ে লাইভে যেতে চাচ্ছে। আমার কাছে কিছু সাম্ভব্য কারণ মনে হচ্ছেঃ
১. ডকুমেন্টে যুক্তি কাটতে খুব সহজ কিন্তু লাইভে প্রতিপক্ষকে গালাগাল, ব্যাক্তিগত আক্রমণ কিংবা ভুল তথ্য উপাত্ত দেখিয়ে প্রতিপক্ষকে হারানো যেতেও পারে।(বিশেষ করে যারা মৌখিক বিতর্ক কম করেছেন।)
২. ডকুমেন্টে যেমন তাড়াতাড়ি যুক্তি কাঁটা যায় তা লাইভে সম্ভব না। যা শৈব দর্শনের স্কলারই বলেছেন।
এরা ভয় পাচ্ছে যে এদের ডকুমেন্টে লড়লে হাজার ভুল ধরা যাবে যা লাইভে সম্ভব নাও হতে পারে।