- মন্ত্রের বিনিয়োগ কি?,
- কোন যাগের অন্তর্ভূক্ত?,
- যাগের নাম কি?
- কোন যাগে এই মন্ত্র বলতে হয় ?
- কেন বলতে হয়?
- স্তব মন্ত্র নাকি আহুতি মন্ত্র?
- ঋক মন্ত্র?
- মন্ত্রের আহুতি কে?
- হোত্র কে?
সুধী, এখানে মন্ত্রটির অর্থ খেয়াল করুন। ভন্ডদের দেয়া উক্ত মন্ত্রের যুক্তিতে আমি পরে আসছি। আপাতত এই ২ টি স্ক্রীনশট খেয়াল করুন। এখানে অক্ষয় প্রকাশনী থেকে যে সংহিতা তাতে ভিন্ন কথা লেখা। এখানে তো " বৈষ্ণব হও " এমন বাক্য কি পাওয়া যাচ্ছে? উত্তর হল না। পাওয়া যাচ্ছে না। সংস্কৃত ভাষার বিভিন্ন মারপ্যাচ এখানে মারতে আসিনি। বেদের কিছু মন্ত্র একদম অপরিবর্তনীয়। এই সব মন্ত্রের কোন ভিন্ন অর্থ সাধারণত করা যায় না। কিন্তু এমন কিছু মন্ত্র আছে যা ভাষ্যকার বিভিন্ন অর্থ করে থাকেন। এখন আন্তর্জাতিক মানের একটি সংঘটন শুধু এক ভাষ্য নিয়ে এমন কথা বলবেন কেন? এটা কেমন ধরণের ভন্ডামি? ভক্ত সংখ্যা বাড়ানো আর নিজেদের দূর্বল বেসকে শক্ত করার জন্য কেনই বা এদের এরকম ভন্ডামির আশ্রয় গ্রহণ করতে হবে?
এবার আসি যদি বেদে এই কথা থেকেও থাকে তাহলে প্রশ্ন হল এখানে কিসের ভিত্তিতে আপনাকে বৈষ্ণব হতে বলছে?
যজ্ঞক্ষেত্র নির্বাচন এবং এর অধিষ্ঠাতা -অধিষ্ঠাত্রী দেবতা -দেবীদের ক্ষেত্রে প্রথমে তাঁর প্রার্থনা করা হয় এরপর তাঁর উদ্দেশ্যে যজ্ঞ করা হয়। সংহিতা ভাগ সব সময় যজ্ঞের উদ্দেশ্যে নিবেদিত। যজ্ঞতে যজ্ঞকর্তাকে অনেক কিছুর ভূমিকা পালন করতে হয় । এইবার এই ভাগে যেহেতু বিষ্ণুর বিক্রম বর্ণন করা হয়েছে তাই এই যজ্ঞে অবশ্যই যজ্ঞ যজমান বৈষ্ণব ( বিষ্ণু প্রীতি লাভের উদ্দেশ্যে উনার ভক্তি সাধন) হতে হবে। এখন এই মন্ত্রের মাধ্যমে কি বলা যায় যে সকল মানুষকে বৈষ্ণব হতে বলেছে? তাছাড়া যজ্ঞ শুধুমাত্র কয়েক মূহুর্ত বা কয়েক দিনের জন্য হয়ে থাকে। সেই সময় কেউ বৈষ্ণব বা বিষ্ণু ভক্ত থাকবেন এইটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে Propoganda চালানো সরাসরি বেদে বলা বৈষ্ণব হতে বলা হচ্ছে এরকম মিথ্যাবাদী একমাত্র এরাই হতে পারে। এতসময় যে আলোচনা করলাম তা মন্ত্রের এই ভাষ্যানুমোদিত সম্বোধ্য বা অর্থে কি ভাব প্রকাশ পায়, সুধীগণেরই তা বিচার্য। মন্ত্রগুলির মধ্যে কোনও সম্বোধ্য পদ নেই। সে ক্ষেত্রে শকট, হবিধান, ররাট্যন্ত, লজানি প্রভৃতি পদ অধ্যাহার করবার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধ মনে হয় না এই মিথ্যেবাদীর দল করেছেন।
আমার সর্বশেষ নিবেদন পাঠকের উদ্দেশ্যে, আমরা জানি বেদের সংহিতা ভাগে যজ্ঞ তথা কর্মকান্ড নিয়ে কথা বলে। আর আমাদের প্রিয় বৈষ্ণব সমাজ সবসময় আর্য সমাজের বিপক্ষে কথা বলার সময় মুক্তি নিয়ে কথা বলে আর্য সমাজকে কোনঠাসা করেন। সব সময় পরা আর অপরা বিদ্যা নিয়ে কথা বলেন। বিস্তারিত এই লিঙ্ক কিন্তু আজকে উনারাই কর্মকান্ড নিয়ে পোষ্ট দিচ্ছেন !! এইটা কি স্বেচ্চাচারী না?
আরও বলা যায় এরা ভগবান বিষ্ণুদেবকে মানেন না। এদের মতে এক কৃষ্ণের থেকে লক্ষ লক্ষ বিষ্ণুর সৃষ্টি। এখন যখন বেদে কৃষ্ণ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় তখন এরা নারায়ন বা বিষ্ণুকে দেখান। যখন কৃষ্ণের supremacy নিয়ে কথা বলা হয় তখন এরা বেদের নারায়নকে দেখান। মানে যখন আসল ধরে টান দেয়া হয় তখন নারায়ন কৃষ্ণ এক। যখন এদের দলে ভিড়ে যাবেন তখন নারায়ন কিছুই না। কৃষ্ণই সমস্ত কিছু।
আসলে এরা হল ভন্ড ধর্ম ব্যাবসায়ী। যা যা এদের সুবিধা তাই এরা মানে। যা এদের বিপক্ষে এরা তা মানেন না । যাকে ইংরেজী ভাষায় বলা হয় Hypocrisy...