Saturday, July 31, 2021

৩ ৬ ৯ কেন এই সংখ্যা ৩ টি সুপার সংখ্যা?

 বিজ্ঞানী টেসলার একটি বিখ্যাত উক্তি থেকে এই তিনটি সংখ্যার বিশেষত্ব প্রথমবার প্রকাশিত হয় । তিনি বলেছিলেন -

বঙ্গানুবাদ - আমরা যদি ৩, ৬ আর ৯ - এর বিশেষত্ব সম্বন্ধে জানতে পারি । তবে আমাদের হাতে চলে আসবে বিশ্বের চাবিকাঠি ।

কিন্তু এই ৩ , ৬ আর ৯ কেন এত বিশেষ ?

প্রথমেই আমাদের বুঝতে হবে আমরা অঙ্কের সূত্র আসলে উদ্ভাবন করি না । আমরা শুধু এটাকে আবিষ্কার করি । প্রকৃতির মধ্যে নিহিত রয়েছে কিছু প্যাটার্ন , সেই প্যাটার্নকে অনুসরণ করে আমরা নির্মাণ করেছি বিভিন্ন গাণিতিক সূত্র । এইজন্য মহাবিশ্বের যেকোনো স্থানে গেলেই আমরা পেতে পারি ২+২=৪ ।

এই প্যাটার্নগুলোর মধ্যে একটি হল - " পাওয়ার অফ ২ বাইনারি সিস্টেম "

অর্থাৎ কোন কিছু এক থেকে শুরু হয়ে ক্রমাগত সেটা একে অপরের দ্বিগুণ হতে থাকে । এই প্যাটার্নকে অনুসরণ করেই আমাদের কোশ এবং ভ্রূণ আস্তে আস্তে বিভাজিত হয় । তাই এই প্যাটার্নকে - ১ , ২, ৪, ৮ , ১৬, ৩২ , ৬৪ , ১২৮ , ২৫৬…… অনেকে বলে থাকে " ভগবানের পরিকল্পনা " ( God's blueprint) ।

এবার এই উপরিক্ত প্যাটার্নের বিশেষত্ব হল -

১×২=২

২×২= ৪

৪×২= ৮

১৬ —-> ১+৬ = ৭

৩২ —- > ৩+২ =৫

৬৪ —-> ৬+৪ = ১

১২৮ —- > ১+২+৮ = ২

২৫৬ —-> ২+৫+৬ = ৪

৫১২ —- > ৫+১+২ = ৮

অর্থাৎ পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যাচ্ছে যে - ১, ২, ৪,৮, ৭, ৫ এই প্যাটার্ন বারংবার ফিরে ফিরে আসছে । এটা যেন ওই পেন্ডুলামের ঘড়ির মতো দুলে দুলে ফিরে আসছে তার সেই প্রাথমিক অবস্থায় । আবার আমরা যদি ১ থেকে শুরু করি এবং সেটাকে ক্রমাগত অর্ধেক করতে থাকি তবেও আমরা ঠিক একই প্যাটার্নকে বিপরীত দিক থেকে ফিরে পাব -

১/২ = ০.৫ — > ৫

০.৫/২ = ০.২৫ — > ২+৫=৭

০.২৫/২ = ০.১২৫ —- > ১+২+৫ = ৮

কিন্তু ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে এই প্যাটার্নে তিনটে সংখ্যা অনুপস্থিত - ৩, ৬ আর ৯ । এই তিনটে সংখ্যা যেন এই প্যাটার্নের ঊর্ধ্বে থাকা মুক্ত কোন সত্ত্বা । বিজ্ঞানী মার্ক রোডিন বিশ্বাস করেন - এই তিনটে সংখ্যা বর্ণনা করে ফোরথ বা থার্ড ডায়মেনশনের কোন ভেক্টর , যাকে তিনি নাম দিয়েছিলেন ফ্লাক্স ফিল্ড ।

এবার যদি আমরা ৩ সংখ্যাটিকে নিয়ে তাকে ক্রমাগত দ্বিগুণ করতে থাকি । তবে আমরা পাব -

৩*২ = ৬

৬*২= ১২ — > ১+২ = ৩

১২*২ = ২৪ — > ২+৪ = ৬

এটাও আবার একটা প্যাটার্ন । ৩ আর ৬ -এর মধ্যে দোদুল্যমান একটা প্যাটার্ন । কিন্তু এই প্যাটার্নে ৯ অনুপস্থিত ।

তবে কি ৯ অন্য কোন প্যাটার্নের অন্তর্ভুক্ত ?

হ্যাঁ , একদমই তাই।

এই ৯ সংখ্যাটিকে দ্বিগুণ করলে আমরা পাব -

৯*২ — > ১৮ = ১+৮ = ৯

১৮* ২ — > ৩৬ = ৩+৬ = ৯

অর্থাৎ এই প্যাটার্নে শুধু অস্তিত্ব রয়েছে সংখ্যা ৯ -এর ।

এবার তিনটে প্যাটার্নকে যদি একত্রিত করে পরপর বসাই । তবে আমরা পাব দুটো মেরু । যার একদিকে রয়েছে ১, ২, ৪ আর অপরদিকে রয়েছে ৮, ৭,৫ । বিশ্বের সব কিছু যেন নদীর স্রোতের মতো একবার ১, ২, ৪ থেকে ৮, ৭,৫ দিকে যাচ্ছে আবার ফিরে আসছে ১,২,৪‌ — এর কাছে । আবার ভালো করে লক্ষ্য করলে বুঝব এই ১,২,৪ - কে আগলে রেখেছে ৩ আর ৮,৭,৫ -কে আগলে রেখেছে ৬ ।

আবার এই ৩ আর ৬ রয়েছে ৯-এর অধীনে ।

৩+৬ = ৯ =৬+৩

১+২+৩+৬+৭+৮+৯ = ৪৫—- > ৪+৫ =৯

১+২+৪+৫+৭+৮ = ২৭ —- > ২+৭= ৯

সুতরাং সব কিছু যেন মিশে রয়েছে ৯ -এর মধ্যে আর ৯ হল সেই একক সত্ত্বা ।

শুধু এটাই নয় আরও অনেক পথ রয়েছে যেগুলো থেকে অনুভব করা গেছে সব কিছুর অভ্যন্তরে লুকিয়ে রেয়েছে ৩ , ৬ আর ৯ ।

যেমন আমাদের সংখ্যাদের মধ্যে -

প্রকৃতির প্রতিসাম্যতার‌ অভ্যন্তরে

আমাদের প্রকৃতির ক্ষেত্রেও তিন এবং ছয় মাত্রার প্রতিসাম্যতাও বেশ স্পষ্টরূপে লক্ষ্য করা যায়। যেমন — মৌমাছির চাঁকে ছয়মাত্রার প্রতিসাম্যতা দেখা যায় ।

সময়কালে

আমাদের ১ ঘন্টাতে ৬০ মিনিট → ৬

১ মিনিটে ৬০ সেকেন্ডে → ৬

১ দিনে রয়েছে ২৪ ঘন্টা → ২+৪=৬

জ্যামিতিক আকৃতিতে

একটা বৃত্তের কোণের মান ৩৬০°

সেই ৩+৬+০=৯

আবার একে অর্ধেক করলে পাওয়া যায় —১৮০°

১+৮+০= ৯

আবার সেটাকে অর্ধেক করলেও পাওয়া যায় — ৯০°

৯+০ =৯

পরমাণুর অভ্যন্তরে

পরমাণু গঠিত হয় তিনটে অংশ দিয়ে — নিউট্রন , প্রোটন আর ইলেকট্রন ।

আবার কোয়ার্ক আর লেপ্টনের ক্ষেত্রে সংখ্যা ৬

আমাদের ঋতুর সংখ্যা ৬

আমাদের বিশ্ব গঠিত হয়েছে তিনটে জিনিস দিয়ে — ডার্ক ম্যাটার , ডার্ক এনার্জি আর সাধারণ বস্তু / ম্যাটার ।

৩ সংখ্যাটাও বেশ অদ্ভুত ।

এটি একমাত্র মৌলিক সংখ্যা , যার পূর্ববর্তী সংখ্যার সমষ্টি ওই সংখ্যাটি নিজে ।

০+১+২=৩

হয়ত চেষ্টা করলে প্রকৃতির মধ্যে আরো বহুক্ষেত্রে আমরা খুঁজে পাব ৩,৬,৯ সংখ্যা তিনটির অস্তিত্ব ।

এগুলো কি নিখাদ কোন কাকতালীয় ঘটনা বা সমাপতন না'কি নিকোলা টেসলার উক্তিই কোন ইঙ্গিত বহন করছে । ভবিষ্যত হয়ত উত্তর দেবে আমাদের।

ধন্যবাদ

তথ্য সূত্রঃ গুগল

Monday, July 26, 2021

গ্রাফোলজি

 গ্রাফোলজি কথাটার মানে হলো, মানুষের হাতের লেখা অ্যানালাইসিস করে, সেই মানুষটার স্বভাব চরিত্র সব বলে দেওয়া। যদিও এটা একটা সিউডো সায়েন্স। তবে সম্প্রতি এই গ্রাফোলজি নিয়ে চর্চা বেশ বেড়েছে। একজন সেদিন দেখলাম এই গ্রুপে পোস্ট করেছেন গ্রাফোলজি নিয়ে জানতে চেয়ে। এই গ্রাফোলজি নিয়েই শুরু করলাম একটা নতুন সিরিজ।

হাতের লেখা দেখে কীভাবে মানুষ চেনা, সেসব নতুন নতুন ফান্ডা এখানে আলোচনা করবো। 

আজকে আলোচনা করবো, হাতের লেখা দেখে কীভাবে মিথ্যাবাদী চেনা যায়। কীভাবে বোঝা যায় একজন মানুষ মিথ্যা কথা বলে নাকি? মানুষটা কতোটা সিক্রেটিভ? কে স্ট্রেইট ফরওয়ার্ড না?

এই সমস্তটাই বোঝা যায়, ছোটো হাতের লেখা O এর লুপ দেখে। আর ছোটো হাতের C এর লুপ দেখে। 

১) প্রথম ছবিটা ভালো করে দেখুন। Luck শব্দটার C-টায় লুপটা লক্ষ্য করুন। এরকম লুপ যদি, কোনো হাতের লেখায় ছোটো হাতের C তে দেখা যায়, তার মানে এই যে, ওই মানুষটা স্ট্রেইট ফরওয়ার্ড না। ইনিয়েবিনিয়ে বা ঘুরিয়ে কথা বলতে সে ভালোবাসে।

২) দ্বিতীয় ছবিতে দেখুন, Love শব্দটায় ছোটো হাতের O তে বাঁদিকে লুপ আছে। এরকম কোনো হাতের লেখায়, O-এর বাঁদিকে লুপ থাকার মানে, যার হাতের লেখা, সেই মানুষটা নিজে এমন সব জিনিস স্বজ্ঞানে অজ্ঞানে বিশ্বাস করে, যেগুলো পুরোপুরি কিংবা একেবারেই সত্যি না। অথচ তারা নিজের মনে মনেই এসব মিথ্যাকে সত্যি বলে বিশ্বাস করে এসেছে। এবং সামনের মানুষটাকে বলার সময় সেই মিথ্যাটাই সত্যি হিসেবে রিপ্রেজেন্ট করে। এর মানে এই নয় যে সে মিথ্যাবাদী। এর মানে মানুষটা নিজে মিথ্যাটাকে সত্যি বলে অ্যাকসেপ্ট করে। 

৩) তৃতীয় ছবিতে Son শব্দটায় O তে দুদিকে দুটো লুপ দেখা যাচ্ছে। এরকম হাতের লেখার মানে, মানুষটা মিথ্যাবাদী। লোকটার মিথ্যা কথা বলাটা একটা অভ্যাস। 

৪) চতুর্থ ছবিতে Pond লেখায় O-তে ডানদিকে লুপ তৈরি হয়েছে। এরকম ডানদিকে লুপওয়ালা O, কারো হাতের লেখায় দেখা গেলে, এর মানে মানুষটা সিক্রেটিভ। যেকোনো কিছু সবার সামনে প্রকাশ না করে, নিজের মনে চেপে রাখতে পছন্দ করে। 




Sunday, July 4, 2021

ভারতীয় সমাজে নরবলি প্রথার অতীত ও বর্তমান

বাহরাম জমাদার অল্পের জন্যে এক হাজার খুন তিনি করতে পারেননি, ৯৩১ এ থেমে গেছেন। ওনাকে নিয়ে বলিউডে সিনেমা বানানো হয়েছে। বাহরাম একজন ঠগি ছিলেন। ঠগিরা মানুষহত্যায় খুবই দক্ষ ছিল। হলুদ রুমাল ভাঁজ করে গলায় পেঁচিয়ে মানুষ মেরে ফেলত, একজন পিছন থেকে মাথা ধরে রাখত, একজন চেপে ধরে রাখত পা। পায়ের হাড় আর শিরদাঁড়া ভেঙে দিয়ে লাশ মাটিতে পুঁতে ফেলতো।

বাহারামের যে ছবিটি ইন্টারনেটে আছে

চিত্রে: ঠগীরা যেভাবে মানুষ মারত , সোর্স Thuggees of India - World's First Mafia

লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক (ভারতের ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেল) জোর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তার চিফ এজেন্ট ক্যাপ্টেন উইলিয়াম স্লিম্যান বেশ কয়েকটি রাজপরিবারের কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ঠগিদের নির্মূল করেছিলেন। ১৮৩১ থেকে ১৮৩৭ সাল পর্যন্ত ৩,২৬৬ ঠগি ধরা পড়ে, যাদের মধ্যে ৪১১ জনকে ফাঁসি দেওয়া হয়।

ঠগিরা ছিল দেবী কালীর উপাসক, নির্দোষদের হত্যাকে তাদের ধর্মীয় কর্তব্য হিসাবে দেখত। তারা বিশ্বাস করেছিল যে হত্যার বিষয়টি কালীকে সন্তুষ্ট করবে।

সাম্প্রতিক সময়ের কিছু খরব—

শাশুড়ির মাথা কেটে রক্তপান করল জামাই - জিনিউজ

তন্ত্রসাধনার জন্য স্বামীর বুকে বসে রক্তপান! রক্তশূন্যতা ভুগে স্বামী বেচারা শেষ। -ওয়ান ইন্ডিয়া

ভালো ফলনের জন্য ১২-বছরের ভাইপোকে বলি দিল কাকা - এই সময়

তন্ত্র সাধনায় হাত পাকাতেই যুবতীকে বলি! কলকাতা24x7

এরকম আরো আরো আছে। ডয়চে ভেলের রিপোর্টটা দেখেন -

নরবলির মতো কুসংস্কার আজও রয়েছে ভারতে

২০১৯, দ্য এজ অব আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স। মানুষ আজকে চাঁদে, কালকে মঙ্গলে যাচ্ছে। কিন্তু সুরেন্দ্র প্রসাদ সিংহ আছেন অন্য চিন্তায়। সরকারকে তিনি চিঠি দিয়েছেন, "নরবলি কোনও অপরাধ নয়। এই নরবলির জন্য অন্য কারও ক্ষতি করতে চাই না। নিজের ছেলেকেই বলি দিয়ে আমার সাধনা সম্পূর্ণ করতে চাই।" ছেলে ইঞ্জিনিয়ার, কিন্তু তাতে কী? মন্দিরে টাকা দেয় না। সুরেন্দ্র লিখেছে,

‘‘তন্ত্র সাধনায় নরবলি খুবই সাধারণ একটি ঘটনা। কামাখ্যায় গিয়ে ইঞ্জিনিয়ার ছেলেকেই সবার আগে বলি দিতে চাই। কারণ, আমার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার হলেও মন্দিরের জন্য অর্থ সাহায্য করতে রাজি নয়। এই সব বিষয়ে বিশ্বাসও নেই ওর। তাই নিজের ছেলেকেই আগে মায়ের কাছে উৎসর্গ করতে চাই আমি।’’


২০১৭ সালের কথা। ফুলু মাহাতোর তিন ছেলে। কত ভাগ্যবতী তিনি, যে মায়ের একটা ছেলেমেয়েও নেই তিনিই জানেন। বড় ছেলে চেন্নাইয়ে থাকে, চাকরি করে। মেজটা শ্বশুরবাড়িতে থিতু হয়েছে। ছোট ছেলে নারায়ণ আছে মাকে নিয়ে। নারায়ণ আবার তন্ত্রসাধক, কালির পুজো করে।

তন্ত্রসাধনায় সফলতার জন্যে নারায়ণ নিজের মাকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে কালির প্রতিমার সামনে প্রণাম করতে বলে। …তারপর তলোয়ার দিয়ে মায়ের মাথা কেটে ফেলে। কত বড় সাধক ছেলে! আর সন্তানের সাফল্য কোন মা চান না?


জঙ্গলে ডাকাতেরা কালি দেবীর উদ্দেশ্যে নরবলি দিত, বাংলা সাহিত্যে এমন কথা অচেনা নয়। আনন্দবাজারে প্রকাশিত সেকালের ডাকাতদের পূজ্য কালীই এখন সর্বজনীন লেখাটি পড়তে পারেন। বঙ্কিমচন্দ্রের কপালকুণ্ডলায় কাপালিক এক সাধকের নরবলির অভ্যাস নিয়ে লেখা হয়েছে। সুচিত্রা ভট্টাচার্য লিখেছেন 'ভাঙা ডানার পাখি', সেখানেও আছে কাপালিকদের নরহত্যার বর্ণনা। কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ লিখেছেন গোমতী নদীতে নরবলি দেয়ার ইতিহাস। আরো অনেক কথা সাহিত্যের পাতায় পাতায় আছে। দীনেশচন্দ্র সেন,রমেশচন্দ্র মজুমদারের লেখায় নরবলির সংস্কৃতির উল্লেখ দেখতে পাই।

ডক্টর দক্ষিণারঞ্জন শাস্ত্রী লিখেছেন,

অধঃপাতে-যাওয়া কয়েকটি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বৈশিষ্ট্য ছিলো যৌনশৈথিল্য; এগুলি ক্রমশ লোকায়ত সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংযুক্ত হয়। এগুলির মধ্যে একটি হলো কাপালিক সম্প্রদায়। তারা মদ্যপান করে, নরবলি দেয় এবং নারী উপভোগ করে। তারা শব, মদ্য ও নারীর সাহায্যে ধর্মের আদর্শ লাভ করবার চেষ্টা করে।

বাঙালি ইতিহাসবিদ, সাহিত্য সমালোচক ও শিল্পকলা-গবেষক পন্ডিত নীহাররঞ্জন রায় লিখেছেন,

এ-তথ্য এখন অনেকটা পরিষ্কার যে, আদিতে হোলী ছিল কৃষিসমাজের পূজা; সুশস্য উৎপাদন-কামনায় নরবলি ও যৌনলীলাময় নৃত্যগীত উৎসব ছিল তাহার প্রধান অঙ্গ। তারপরের স্তরে কোনও সময় নরবলির স্থান হইল পশুবলি এবং হোমযজ্ঞ ইহার অঙ্গীভূত হইল। (বাঙ্গালীর ইতিহাস : আদি পর্ব )

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর "শক্তিপূজা" প্রবন্ধে লিখেছেন,

একটি কথা মনে রাখতে হবে, দস্যুর উপাস্য দেবতা শক্তি, ঠগীর উপাস্য দেবতা শক্তি, কাপালিকের উপাস্য দেবতা শক্তি। আরো একটি ভাববার কথা আছে, পশুবলি বা নিজের রক্তপাত, এমন কি, নরবলি স্বীকার করে মানত দেবার প্রথা শক্তিপূজায় প্রচলিত। মিথ্যা মামলায় জয় থেকে শুরু করে জ্ঞাতিশত্রুর বিনাশ কামনা পর্যন্ত সকল প্রকার প্রার্থনাই শক্তিপূজায় স্থান পায়।

জন ক্যাম্পবেল হিউম্যান স্যাক্রিফাইস ইন ইন্ডিয়া বইয়ে উড়িষ্যার খোন্দ উপজাতির নারী-শিশু বিসর্জন দেয়ার ইতিহাস লিখেছেন।

ফুটনোটগুলি

সাকার উপাসনার কিছু রেফারেন্স

 নিরাকারবাদী এবং একদল বিধর্মীদের দাবি বেদাদি শাস্ত্রে প্রতিমা পূজা এবং সাকার উপাসনার উল্লেখ নেই। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বেদবিরুদ্ধ মূর্তিপূজা ক...

Popular Posts