Saturday, May 15, 2021

জনৈক ইসকন ধর্মের ভক্তের বাতুলতার কিছু প্রশ্নের উত্তর । আগ্রহীগণ দেখতে পারেন।

 বৈদিক বৈদিক করে লাফাচ্ছেন আপনি বৈদিক মানে বুঝেন ? আপনি কতটুকু সংস্কৃত জানেন যে বৈদিক ভিত্তি বৈদিক ভিত্তি করে চিৎকার করছেন। রাবণ ও চার বেদের জ্ঞানী ছিল কিন্তু সে ও পরম সত্য অন্বেষণ করতে পারেনি। আপনার মত আবাল কোনদিনই বেদ বুঝতে সক্ষম হবে না।

ইসকন অবশ্যই বেদ কে সম্মান করে, বলেই তো পুরো বিশ্বে ইসকন বৈদিক বিবাহ করাচ্ছে, তাছাড়া হোম যাগযজ্ঞ এগুলোও তো ইস্কনে অনুষ্ঠিত হয় এবং সেগুলোও বেদের ই অন্তর্গত।

বেদ হচ্ছে অনেক কমপ্লেক্স বা কঠিন যা বুঝার সবার সাধ্য নেই, সেজন্য পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ কলিযুগের জীব দের জন্য বেদের সার গীতার অনুকরণ করতে বলেছেন এবং বেদকে না মানার কথাও বলেননি। এবং প্রমাণ প্রমাণ বলছেন তো শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে কলিযুগের যেসব সম্ভাব্যতা বলেছিলেন বর্তমানে তার সব কিছুই ঘটছে, এটা কি কাকতালীয় ? ঈশ্বরের বাণী সত্যতা বিচার করার কোন প্রমাণের দরকার নেই ঈশ্বরের বাণীটিই হচ্ছে ওটার প্রমাণ, যা আমাদেরকে এক নিষ্ঠে পালন করার দরকার।

আর আপনার রামকৃষ্ণ গরমহংস, তিনি ও তো ধর্ম পরিবর্তন করেছিলেন একবার হিন্দু হয়েছিলেন ,একবার মুসলিম ,খ্রিস্টান আরো কত কি, নিজের স্ত্রীকে মা কালী ভেবে পুজো করা এগুলো কি সুস্থ মানুষের লক্ষণ ?😆 অজুহাত দেখিয়ে কোন লাভ হবে না।

যাগ্গে, ইস্কনের প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন একজন ভারতীয় এবং তা নিয়ে আপনার গর্ব হওয়া দরকার কিন্তু আপনি নিজের দেশ ছেড়ে ভিন্ন দেশে গিয়ে গোরাদের পা চেটে চেটে খাচ্ছেন।

যা বোঝালাম তা বুঝার চেষ্টা করবেন দয়া করে। অযথা তর্ক করবেন না। পরমেশ্বর পরম ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আপনাকে কথা বোঝার শক্তি দিক। 🙏 Hare Krishna.



আপনার মত আবাল কোনদিনই বেদ বুঝতে সক্ষম হবে না।

বেদ বুঝি বলেই ইস্কন ঘৃণা করি। আর আমাকে আবাল বলে গালি মারছেন তো ? এটাই হল আসল ইস্কনী পাঠা ছাগলদের লক্ষন। যুক্তি আর কথায় না পারলে গালি হল মূর্খদের ভরসা। এবার আসি সংস্কৃত জানা আর না জানা দিয়ে। আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে ইংরেজীতে একবার না, বহুবার বেদ অনুবাদিত হয়েছে। সায়ন আচার্য্যের ভাস্য নিয়ে প্রচুর ইংলিশ আর ফ্রেঞ্চ মনিষীরা কমেন্টও করেছেন। তাই ২০২১ সালে যদি কিছু জানতে হয় তখন ভাষা এখানে সমস্যা না। সমস্যা হল আপনার মতন অন্ধকার যুগে মধ্য যুগীয় ভাবধারাইয় বিশ্বাসী কুয়োর ব্যাঙদের অন্ধত্ব।
রাবন অহংকারী ছিলেন বিধায় পরমেশ্বরের করুণা প্রাপ্তিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তবুও সেই প্রেক্ষাপটে উনি উনার স্থানে ঠিক আর পুরুষত্তম রামচন্দ্রও উনার স্থান থেকে ঠিক ছিলেন। শুধু অহংকার আর নন্দি মহারাজের অভিশাপ এবং বিভিন্ন মুনি ঋষিদের অভিশম্পাত রাবণকে ধ্বংশের মুখে নিয়ে যায়। এখানে ইস্কন আর সনাতনির কোন বিষয়ই নাই। তাই এই প্রসংগ অবান্তর।

ইসকন অবশ্যই বেদ কে সম্মান করে, বলেই তো পুরো বিশ্বে ইসকন বৈদিক বিবাহ করাচ্ছে, তাছাড়া হোম যাগযজ্ঞ এগুলোও তো ইস্কনে অনুষ্ঠিত হয় এবং সেগুলোও বেদের ই অন্তর্গত।

এটা হল শতাব্দির সবথেকে ডাহা মিথ্যা কথা। বেদ সম্মান করলে এরা বৈদিক আচার মানতো। বৈদিক দেবতার পূজা অর্চ্চনা করতো। তা না করে এরা উল্টো বৈদিক সকল দেবতাদের অপমান করে। যা সনাতন ধর্মের আচারের বাইরে। বৈদিক আচার , যম, প্রাণায়াম কিছুই ইস্কন মানে না। উল্টো হাত পা ছুড়ে লাফালাফি করে যা বেদ এবং সনাতন ধারার বিরোধী। চৈতন্য ভারতীর সেই রাজনৈতিক আন্দোলনকে এরা আধ্যাত্ম্যবাদের রূপ দিয়েছে। অবশ্য এদের দোষ নেই। এদের পূর্ব পুরুষ ৬ গোস্বামীর এন্টারপ্রাইজ এই কাল্পনিক তত্ত্ব নিয়ে এসেছে।
আপনি বৈদিক বিবাহের কথা বলেছেন যা আরো হাস্যকর। সনাতন শাস্ত্র সম্পর্কে আপনার জ্ঞান যে শূন্যের কোঠায় তা প্রমাণিত। এই বৈদিক বিবাহ নামক ফালতু রীতির উদ্ভব ব্রহ্মসংহিতা নামক কালনিক শাস্ত্রে। যার স্মৃতি এবং শ্রুতিগত কোন ভিত্তিই নেই। চৈতন্য ভারতী দক্ষীন ভারত থেকে তা একজন থেকে ধার নিয়ে অনুবাদ করেন যার মূল লেখক কে আজ পর্জন্ত জানা যাইয় নাই। এবার আসি কোনটা বৈদিক বা আসল বৈদিক বিবাহ কোনটি। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সেই রামায়ন যুগ থেকেই ৪ ধরণের বিবাহ করে আসছেন। এর মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ হল প্রজাপতি বিবাহ যা মনু এবং গৌতম ঋষি দ্বারা স্বীকৃত। এখনকার যত হিন্দু বিয়ে হয় তা এই বৈদিক আচরণ মেনেই হয়। এখন এখানে বিচক্ষন পাঠক বিবেচনা করবেন যে ঋষি প্রদর্শিত বিবাহ বৈদিক না এই কাল্পনিক মধ্যযুগীয় শাস্ত্রের বিবাহ বৈদিক। বৈদিক বিবাহের নামে যা চলে তা হল ১০০% ফাইযলামী।

বেদ হচ্ছে অনেক কমপ্লেক্স বা কঠিন যা বুঝার সবার সাধ্য নেই,

বেদ সর্বকালের জন্য মান্য। আপনাদের মতন বেদ বিরোধীদের মুখেই এটা মানায়। আর আমার দাবী যে সত্য তাঁর প্রমান আপনি নিজেই দিয়ে দিলেন বিধায় ধন্যবাদ। বেদ যে সকল যুগের জন্য মান্য তাঁর প্রমান দেখুন নিম্নেঃ

অংতি সন্তং ন জহাত্যন্তি সন্তং ন পশ্যতি।

দেবস্য পশ্য কাব্যং ন মমার ন জীর্যতি।

(অথর্ববেদ ১০.৮.৩২)

সরলার্থঃ মনুষ্য সমীপবর্ত্তী পরমাত্মাাকে দেখেও না, তাহাকে ছাড়িতেও পারে না। পরমাত্মাার কাব্যকের দেখ, তাহা মরেও না, জীর্ণও হয় না।

অর্থাৎ বেদ সকল যুগ ও কালের জন্য প্রযোজ্য।এর বাণী কখনো অপ্রাসঙ্গিক হয়না,অচল হয়না।বেদ মন্ত্র কলিযুগে নিষ্ক্রিয়-এ ধরনের প্রলাপ তাই অনর্থক।সর্বযুগে ই সমানভাবে প্রযোজ্য ও তা সর্বদা আধুনিক।

এখন মনিষীরা বেদ সমন্ধ্যে কি বলেছেন একটু শুনি-

"বেদ হচ্ছে সকল সত্য জ্ঞানের উৎস। মহাকর্ষ শক্তি যেমন তা আবিস্কারের আগেও বিদ্যমান ছিল তেমনি মানবজাতি যদি এটা ভুলেও যায় তারপরও এটা অপরিবর্তিতভাবে বিদ্যমান থাকবে।ঠিক তেমনি বেদ"

(স্বামী বিবেকানন্দ,Comp lete work,vol 1,paper on Hinduism)

তাছাড়া পবিত্র বেদমাতা আরো বলেছেন

যথেমাং বাচং কল্যানীমাবদানিজনেভ্যঃ।ব্রহ্ম রাজান্যাভ্যাং শূদ্রায়চার্যায় চ স্বায় চারণায়।প্রিয়ো দেবানংদক্ষিণায়ৈ দাতুরিহ ভুয়াসময়ং মে কামংসমৃধ্যতামুপ মাদো নমতু।।

(যজুর্বেদ ২৬।২)

সরলার্থঃ পরমেশ্বর সব মনুেষ্যর প্রতিউপদেশ দিতেছেন ব্রহ্মণ,ক্ষত্রিয়,শুদ্র,বৈশ্য,স্বীয় স্ত্রীর ও সেবকাদি এবংঅন্যান্য সকল মনুষ্যকেই যেমন আমি এই মঙ্গলদায়িনী বেদবানীর উপদেশ দান করিয়াছি, তোমরাও সেইরুপ করো।

এবার বিচক্ষন পাঠক বিবেচনা করুক জনৈক ইস্কন ধর্মের অনুসারীর উপোরোক্ত দাবী আসলেই সঠিক কিনা আর এরা আসলেই বেদ মানে কিনা।

সেজন্য পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ কলিযুগের জীব দের জন্য বেদের সার গীতার অনুকরণ করতে বলেছেন এবং বেদকে না মানার কথাও বলেননি।

আপনার সদয় অবগতির জন্য আবারো জানাচ্ছি যে কোন আচার্য্য আই রিপিট কোন আচার্য্য এই দাবী প্রমান করেন নাই। দাবী করেছেন মাত্র। তাও বৈষ্ণব আর কৃৈষ্ণবীয় কিছু অপদার্থ আচার্য্য এই দাবী করেছেন। এবার আসি ভগবান কৃষ্ণের গীতা বলা নিয়ে। না উনি গীতার বক্তা না। এর প্রমান কূর্ম্ম পুরান, মহাভারত আর শিব পুরান। মহাভারত থেকে যেহেতু ভাগবত গীতার উৎপত্তি তাই মহাভারত থেকেই কোট করছি।

মহাভারত অশ্বমেধিক পর্বের ১৬ তম অধ্যায়ে অর্জুন কে গীতা দান প্রসঙ্গে শ্রীকৃষ্ণ বলেছিলেন যে,

" পরম হি ব্রহ্ম কথিতং যোগযুক্তেন তন্ময়া।।১৩।। "
অর্থাৎ সেই পরম ব্রহ্মের উপদেশ আমি যোগযুক্ত অবস্থায় করেছিলাম।

এ থেকে আমরা জানতে পারি যে, কৃষ্ণ অর্জুন কে যোগযুক্ত অবস্থায় গীতা জ্ঞান দান করেছিলেন। এই আমি যে কৃষ্ণ নিজে নন তাঁর প্রমান উপনিষদেও আছে। আবার পুরাণেও আছে। শিষ্যকে অহংভাবে "আমি, আমার " বোধে উপদেশ দেওয়ার প্রমাণ পেয়ে থাকি। উদাহরণ স্বরূপ ছান্দোগ্যপনিষদ এ সনদ মুনি উপদেশ দিচ্ছেন -

"তিনিই নিম্নে, তিনি উর্ধে, তিনি পশ্চাতে, তিনি সম্মুখে, তিনি পশ্চাতে, তিনি দক্ষিনে, তিনি উত্তরে অর্থাৎ তিনি সর্বত্র।

এর পরই আবার তিনি অহংভাবে উপদেশ দিচ্ছেন -

আমিই অধোভাগে, আমি উর্ধে, আমি পশ্চাতে, আমি সম্মুখে, আমি পশ্চাতে, আমিই দক্ষিনে।

(ছান্দোগ্যপনিষদ ৭।২৫।১)

কাজেই আপনার এই দাবীও যে মিথ্যা তা প্রমাণিত।

এবং প্রমাণ প্রমাণ বলছেন তো শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে কলিযুগের যেসব সম্ভাব্যতা বলেছিলেন বর্তমানে তার সব কিছুই ঘটছে, এটা কি কাকতালীয় ?

শ্রীকৃষ্ণ কোন সাধারণ মানুষ ছিলেন না। উনি ষড়গুন সম্পন্ন একজন ভগবান। উনার অজানা কিছুই থাকে না। যেমন বাবা লোকনাথ বা ঠাকুর রামকৃষ্ণ উনারা কেউ সাধারণ মানুষ না। তেমনি কৃষ্ণও ছিলেন না বিধায় উনি সব বলতে পেরেছেন। হরি নাম বিক্রি করে কলিতে অসুরদের উত্থান হবে সেটাও শাস্ত্রে আছে। আর কৃষ্ণ কোথাও বলেন নাই। বেদ না মেনে গীতা মানো কারন এটা বেদের সার। এই দাবী হাস্যকর।

ঈশ্বরের বাণী সত্যতা বিচার করার কোন প্রমাণের দরকার নেই ঈশ্বরের বাণীটিই হচ্ছে ওটার প্রমাণ, যা আমাদেরকে এক নিষ্ঠে পালন করার দরকার।

সেম কথা আমিও বলছি। বেদ মানুন। আর কিছু মানার দরকার নেই। বৈদিক দেবতাদের পুজা করুন। আর কিছু দরকার নেই।

আর আপনার রামকৃষ্ণ গরমহংস, তিনি ও তো ধর্ম পরিবর্তন করেছিলেন একবার হিন্দু হয়েছিলেন ,একবার মুসলিম ,খ্রিস্টান আরো কত কি, নিজের স্ত্রীকে মা কালী ভেবে পুজো করা এগুলো কি সুস্থ মানুষের লক্ষণ ?😆 অজুহাত দেখিয়ে কোন লাভ হবে না।

আপনার সদয় অবগতির জন্য বলছি রামকৃষ্ণ আমার একার না বরং সমগ্র হিন্দু ধর্মের। উনি যে সর্বধর্ম সমন্বয় করেছেন সেটাও একটা মিথ্যা ছাড়া আর কিছু না। মিশনের অনেক ভক্ত এর বিরোধী। মিশনের এই ব্যাপ্পারটার নিন্দা আমিও করি তবে এরা আর যাই করুক ইস্কনের মতন শাস্ত্র বিকৃতি করে না। শুদ্ধ ধারায় ( দশনামী) থেকে শাস্ত্র অনুবাদ করে সাধারণের জন্য তা বিলিয়ে দিচ্ছে যা প্রশংসার দাবীদার বটে। এবার আসি স্ত্রী পুজায়। আসলে আপনাদের সাথে ইস্লামিষ্টদের এইখানে খুব মিল। ঘৃণা আপনাদের শুরু থেকেই। আর এর বীজ দিয়েইএ মগজ ধোলাই এর শুরু। রামকৃষ্ণের জীবনি পড়েন নাই বা জানেন না বলেই জানা নেই যে উনারা বিবাহ করেছিলেন ঠিকই কিন্তু সেই বিবাহ সাধারন মানুষের মতন না। যেমন শ্রীকৃষ্ণ বিবাহ করেছেন ঠিকি কিন্তু আপনারা যা মাতাজিদের সাথে করে গন্ডায় গন্ডায় ছাগল প্যদা করেন সেসব উনারা কেউ করেন নাই। সঙ্গম ঋষি মুনিরা বা ভগবানেরা মানুষের মতন করেন না। সেটা ভাল করে মাথায় ঢুকান।


যাগ্গে, ইস্কনের প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন একজন ভারতীয় এবং তা নিয়ে আপনার গর্ব হওয়া দরকার কিন্তু আপনি নিজের দেশ ছেড়ে ভিন্ন দেশে গিয়ে গোরাদের পা চেটে চেটে খাচ্ছেন।

আযমল কাসাবও একজন ভারতীয়। কিন্তু ভারত বিরোধী আর হিন্দু বিদ্বেষ এর রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছিল। তেমনি এই অসভ্য ইতর প্রভুপাদ নামক ব্যাক্তিটাও সেম। কিভাবে? কারন সে বলেছিল

মেয়েরা রেপ পছন্দ করে।
মেয়েরা এমন পুরুষকেই পছন্দ করে যে রেপে পারদর্শী ( প্রমান এইখানেঃ
PrabhupadaBooks.com Srila Prabhupada's Original Books)
মেয়েদের ব্রেণে কিছুই নেই । ( প্রমানঃ
Srimad-Bhagavatam 1.3.21 -- Los Angeles, September 26, 1972 Srimad-Bhagavatam Lectures) ইত্যাদি।

রামকৃষ্ণ অন্তত কোন নারীকে এমন অপমান করেন নাই। মাতৃজ্ঞানে পূজা করেছেন। এবার বিচক্ষন , শিক্ষিত জনগন ভাবুন বাকিটা।
এবার আসি আমার পা চাটার বিষয়ে। আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি ইস্কনের ৯০% ফান্ড এই গোরা বা হোয়াইট বেকুবের দলেইরাই দিচ্ছে। ইস্কন তাই ক্রীস্মাস পালন করে, কৃষ্ণকে সান্তাক্লস সাজায়, ফোর্ড কোম্পানির গাড়ী ফ্রী পায়। নাহলে এখানে এদের কেউ পাত্তাও দেয় না। ফোর্ডের মালিক ইস্কনী হয়েছেন তাও মাতাজি দিয়ে তাঁকে ভুজুং ভাজুং বুঝিয়ে। আপনারা প্রচারে মেয়েদের ব্যাবহার করেন সেটা সবাই জানে। এমনকি রাশিয়ান এক মাতাজি আমাকে নিয়ে বিছানায় লিলা করারও অফার দিয়েছেন বিনিময়ে আমাকে ইস্কনী হতে হবে। এতেই বোঝা যায় সেখানে কোন ধরণের মেয়েরা থাকে আর যায়।
যাইহোক এই বিষয়ে গেলে বিস্তর। রেপ, হিউম্যান ট্রাফিকিং, জায়গা দখল, গুন্ডামী সবই ইস্কন করে থাকে। এইদিকে গেলে লেখা খামাকা লম্বা হবে।

যা বোঝালাম তা বুঝার চেষ্টা করবেন দয়া করে। অযথা তর্ক করবেন না। পরমেশ্বর পরম ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আপনাকে কথা বোঝার শক্তি দিক। 🙏 Hare Krishna.

যা প্রমান দিলাম তা বোঝার চেষ্টা করবেন। মাথা যদি অয়াশ না হয়ে থাকে তো এদের কবল থেকে বের হয়ে সত্য সনাতন ধর্মে ফেরৎ আসুন। ফালতু অজ্ঞানীদের মতন তর্ক করবেন না।
পরমেশ্বর ( শিব, কালী , দূর্গা, গনেশ, ইন্দ্র, কৃষ্ণ, রাম আপ্পনি যে নামেই ডাকুন) আপনাকে সত্য বঝার শক্তি দিন এই কামনা করি।

ওম তৎসৎ। 

Saturday, May 8, 2021

কোনারকের সূর্য মন্দিরের ইতিহাস

 কোণার্ক সুর্য মন্দির যা ১৩শ-শতাব্দীতে নির্মিত ভারতের ওড়িশা রাজ্যের পুরী জেলার কোণার্ক শহর অবস্থিত। বিশ্বাস করা হয় যে মন্দিরটি ১২৫৫ খ্রিস্টাব্দে পূর্ব গঙ্গ রাজবংশের নরসিংহদেব । একে নিমাণ করেছিলেন।মন্দির কমপ্লেক্সটি একটি বিশাল রথের আকৃতি যা বিস্তারিতভাবে পাথরের চাকার, স্তম্ভ এবং দেওয়ালগুলি তৈরি করা হয়েছে।কাঠামোর একটি প্রধান অংশ এখন ধ্বংসাবশেষ। মন্দিরটি একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান এবং ভারতে সাতটি বিস্ময়ের বিভিন্ন তালিকাতেও রয়েছে। মন্দিরটি পু্রী থেকে ৩৫ কিমি এবং ভুবনেশ্বর থেকে ৬৫ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত।

কোনার্ক নামটি সংস্কৃত কোনা ,কোনা বা কোণ এবং আর্ক ,সূর্য শব্দগুলির সমন্বয়ে গঠিত, যা মন্দিরের উল্লেখিত সৌর দেবতা সূর্যকে উৎসর্গ করা হয়েছিল। অর্থাৎ সুর্য্যের বিভিন্ন কোণের অবস্থান। এই মন্দিরটি সুর্য্যের বিভিন্ন অবস্থানে গুরুত্বপূর্ণ অর্থ বহন করে।
স্মৃতিস্তম্ভটিকে ইউরোপীয় নাবিকরা একে ব্ল্যাক প্যাগোডা কালা পাগোডাও বলা হতো। এর বিপরীতে, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরটিকে হোয়াইট প্যাগোডা ,সাদা পাগোডা, নামে পরিচিত ছিল। উভয় মন্দিরটি নাবিকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান হিসেবে কাজ করেছিলো । কোণার্ক সূর্য মন্দিরের তার পরিকাঠামোর জন্য লোহার ভিম ব্যবহার করে।মন্দির গড়ে ওঠার পেছনে দুটি মত আছে। প্রথম পূর্বগঙ্গা রাজবংশের ১০৭৮,১৪৩৪ নরসিংহদেব ১২৩৮-১২৬৪ বা ১২৩২-১২৫৫ খ্রিস্টাব্দে প্রথমে বাংলা জয়ের স্মারক রূপে চন্দ্রাভাগা নদীর তীরে প্রাচীন মৈত্রিয়ারনে অর্থাৎ সাজেকের কোনারাকে এই মন্দির প্রতিষ্টা করেন। দ্বিতীয়ত পুরান মতে শ্রীকৃষনের পুত্র সাম্ব রূপে অত্যন্ত নায়ানভোলানো ছিলেন। সব মহিলাদের নজর কারতেন। সাম্ব একদিন নারদের ডাকে সাড়া দিতে ভুলে গেলে নারদের মোড়ে প্রতিরোধ স্পৃহা জাগে। এক দিন কৃষ্ণ যখন গোপিনীদের সঙ্গে লীলায় ব্যস্ত তখন নারদের কুতিরাতে সাম্ব সেখানে ঢুকে পড়ে।তখন গোপিনীদের নজর তার ওপর গিয়ে পড়ে। তখন কৃষ্ণ প্রচুর রেগে গিয়ে তাকে অভিশাপ দানের প্রয়োজনে শাস্তি দেন যে তার রূপ হারিয়ে যাবে। তখন মনে দুঃখে কাঁদতে কাঁদতে সে কোনারাকে সমুদ্রের তীরে এসে সূর্জদেবকে কঠোর তপস্যায় মুগ্ধ করেনিজ হারানো রূপ ফিরে পেয়ে সমুদ্রতীরে এই মন্দির প্রতিষ্ঠএ করেন।

মন্দিরে সূর্যদেবতার যে বিশাল বিগ্রহ ছিল তা এখন নেই। কালের করাল গ্রাসে স্থাপনার অনেকটাই আজ ধ্বংসপ্রাপ্ত। এর কয়েকটি কারণ আছে। প্রথমত বাংলার সুলতান সুলেমান খান কারানির সেনাপতি কালাপাহাড়ের আক্রমণে কোনার্ক মন্দির প্রথম ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। উড়িষ্যার ইতিহাস অনুযায়ী কালাপাহাড় ১৫০৮ সালে কোনার্ক আক্রমণ করে। দ্বিতীয়ত নরসিংহদেব মুসলিম মেয়ে কে বিয়ে করার জন্যে বহিসকিত হয়। তাই সে নিজে মন্দির ধ্বংসকরেন। তৃতীয়ত ১৬২৬ সালে খুরদার তত্কালীন রাজা পুরুষোত্তম দেবের পুত্র নরশিমা দেব সূর্যদেবের বিগ্রহটি পুরীর জগন্নাথের মন্দিরে নিয়ে যান। সেখানে একটি পৃথক মন্দিরে সূর্য এবং চন্দ্র দেবতার বিগ্রহ স্থাপন করা হয়। শুধু বিগ্রহই নয় তিনি কোনার্ক মন্দির থেকে কারুকার্য করা অনেক পাথর পুরীর মন্দিরে নিয়ে যান। এমনকি নবগ্রহ পথ নামে একটি বিশাল প্রস্তর খন্ডও তিনি পুরীতে নিয়ে যান। মারাঠা শাসনামলে কোনার্ক মন্দির থেকে অনেক ভাস্কর্য ও প্রস্তরখন্ড পুরীতে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৭৭৯ সালে কোনার্ক থেকে অরুণ কুম্ভ নামে বিশাল একটি স্তম্ভ নিয়ে পুরীর সিংহদ্বারের সামনে স্থাপন করা হয়। সেই সময় মারাঠা প্রশাসন কোনার্কের নাট মন্ডপটি অপ্রয়োজনীয় মনে করে ভেঙ্গে ফেলে। সূর্যদেবের বিগ্রহ অপসারণের পর কোনার্কে পূজা এবং আরতি বন্ধ হয়ে যায়। চতুর্থত পর্তুগীজ জলদস্যুদের ক্রমাগত আক্রমণের ফলে কোনার্ক বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়। পর্তুগীজ জলদস্যুদের দস্যুবিতি করতে অসুবিধা হওয়ার জন্য পর্তুগীজ দস্যুরা কোনার্ক মন্দিরের মাথায় অবস্হিত অতি শক্তিশালি চুম্বক টিকে নষ্ঠ করে দেয়.আঠারশ শতক নাগাদ কোনার্ক মন্দির তার সকল গৌরব হারিয়ে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। মন্দিরের অনেক অংশ বালির নিচে চাপা পড়ে যায় ।মন্দির চত্বর ও এর আশেপাশের এলাকা ধীরে ধীরে ঘন অরণ্যে ছেয়ে যায় ।বুনো জন্তুরা বাসা বাঁধে মন্দিরের ভিতর। জলদস্যু ও ডাকাতের আস্তানায় পরিণত হয় কোনার্ক মন্দির। সেসময় দিনের আলোতেও সাধারণ মানুষ ভয়ে এর ত্রিসীমানায় যেত না।

আকৃতির।মন্দিরের সামনে রয়েছে নাটমন্ডপ। এখানে একসময় দেবদাসীরা দেবতার উদ্দেশ্যে পূজানৃত্য পরিবেশন করতেন। মন্দিরের ভিতরে রয়েছে নাটমন্দির,ভোগমন্দির এবং গর্ভগৃহ। মন্দিরটির উচ্চতা প্রায় ৮৫৭ ফুট ।তবে মন্দিরের অনেক অংশ এখন বালিতে দেবে গেছে। মন্দিরের দেউল এখনো ২০০ ফুট উঁচু।উড়িষ্যা এবং দ্রাবিড় স্থাপত্যরীতির সংমিশ্রণে নির্মিত মন্দিরটি ধূসর বেলে পাথরে বিশাল একটি রথের আকারে গড়া হয়েছে। সমুদ্র থেকে উঠে আসা সূর্যদেবের বিশাল রথ,তার সামনে রয়েছে সাত জোড়া ঘোড়া। সাতটি ঘোড়া মানে সপ্তাহের সাত দিন। বারো জোড়া বিশাল চাকার ওপর পুরো মন্দিরটি নির্মিত। চব্বিস্টি চাকা মানে চব্বিশ ghonta। চাকার কারুকার্য দর্শকদের জন্য একটি প্রধান আকর্ষণ। প্রতিটি চাকা একেকটি সূর্যঘড়ি। চাকার ভেতরের দাঁড়গুলো সূর্যঘড়ির সময়ের কাঁটা। আটটি দাড়ি মানে অষ্টপ্রহর। এখনো নিখুঁতভাবে সময় জানা যায় এই সূর্যঘড়ির সাহায্যে। মন্দিরের প্রবেশপথেই রয়েছে বিশাল দুটি সিংহের মূর্তি যারা লড়াই করছে দুটি রণহস্তীর সঙ্গে।তাছাড়াও রয়েছে ডানসিং হল ও ছায়াদেবীর মন্দির এবং মায়া মন্দির। প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসে মন্দির প্রাঙ্গনে বসে ডান্স ফেস্টিবল। সেএই সময় বহু দূর থেকে ছুটে আসে বহু নৃত্যপ্রেমী মানুষ।

আজও ভোরের সূর্যোদয়ের প্রথম আলো মন্দিরের প্রাঙ্গনে এসে পড়ে। মন্দিরের ভাস্কর্য অনুপম। বেদী থেকে শুরু করে চূড়া পর্যন্ত প্রতি ইঞ্চি জায়গায় পাথরের ভাস্কর্য ও কারুকার্য রয়েছে। দেবতা,অপ্সরা, কিন্নর, যক্ষ, গন্ধর্ব, নাগ, মানুষ, বালিকা বধূ বিয়ের শোভাযাত্রা, সমকামিতা, রাজার যুদ্ধ প্রস্তুতি, মৃদঙ্গকরতাম বীণা, মোহিনী, মিঠুন মূর্তি, ছয় হাতের শিব, রাজদরবারের নানান দৃশ্য, পৌরাণিক বিভিন্ন ঘটনার প্রতিরূপ, নৃত্যরত নরনারী, প্রেমিক যুগল, ফাঁদ দিয়ে হাতি ধরা,শিকারের দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পাথরের বুকে ।মূর্তিগুলোর মানবিক আবেদন, নিখুঁত গড়ন,লীলায়িত ভঙ্গী শিল্পকলার চরম উত্কর্ষের নিদর্শন। মন্দিরের তরণে মানুষের মূর্তি শায়িত। সিংহ শক্তি অর্থাৎ ক্ষমতার প্রতীক এবং হাতি কিংবা সম্পদের প্রতীক এদের মাজে পিসে মরছে মানুষ।

বিংশ শতাব্দীতে প্রত্নতত্ববিদরা কোনার্ক মন্দির পুনঃরাবিষ্কার করেন। ৩০০ বছর ধরে বালিরস্তূপের নীচে অনাদর ও অবহেলায় পড়ে থাকা এই সূর্য মন্দিরটি কে ১৯০৪ সালে বড়লাট লর্ডকার্জন উদ্ধার করেন৷ তবে তার ও আগে কোন বিপর্যয় বসত মূল সূর্য মন্দিরটি অবুলুপ্ত হয়। আমরা যেটাকে মন্দির হিসেবে দেখি সেটা আসলে নাট মন্দির,মূল মন্দির নয়৷ ফলে লোকচক্ষুর সামনে উন্মোচিত হয়। কোনার্ক মন্দিরের অপূর্ব স্থাপত্য শৈলী,বিষ্ময়কর ভাস্কর্যকীর্তি ও অনন্য শিল্প সম্ভার। কোনার্ক মন্দিরের অনেক শিল্প কীর্তি এখন সূর্য মন্দির জাদুঘর ও উড়িষ্যার জাতীয় জাদুঘরে রয়েছে। প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী কোনার্কের সূর্য মন্দির দেখতে আসেন ।প্রাচীন ভারতীয় স্থপতি ও ভাস্করদের শিল্পনৈপুণ্য ও সৃষ্টিশীলতা আজও মানুষকে বিস্ময় বিমুগ্ধ করে।


Source:
 https://en.m.wikipedia.org/wiki/Konark_Sun_Temple

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Konark

https://www.worldhistory.org/Konarak_Sun_Temple/

https://bn.m.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%A3%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95_%E0%A6%B8%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF_%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B0


https://roar.media/bangla/main/art-culture/konark-sun-temple-symbol-of-medieval-tradition

সাকার উপাসনার কিছু রেফারেন্স

 নিরাকারবাদী এবং একদল বিধর্মীদের দাবি বেদাদি শাস্ত্রে প্রতিমা পূজা এবং সাকার উপাসনার উল্লেখ নেই। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বেদবিরুদ্ধ মূর্তিপূজা ক...

Popular Posts