Monday, April 6, 2020

মহাভারত নিয়ে বিস্তারিত

শাস্ত্রজ্ঞরা বলে থাকেন মহাভারত তিন বার লেখা হয়েছিল। একবার ৮৮০০ শ্লোকে, একবার ২৪০০০ হাজার শ্লোকে আর একবার ১ লাখ শ্লোকে। মূলত এই কারণে মহাভারতকে ‘শতসাহস্রী সংহিতা’ বলা হয়। আবার অনেকেই মনে করেন প্রাচীন মহাভারতের শব্দশৈলীর সাথে বর্তমান মহাভারত খুবই সহজ প্রকৃতির। অবশ্য এই কথাটি মহাভারতও স্বিকার করে। বিভিন্ন গবেষকদের মতে মহাভারত প্রথমে ‘‘জয়া’’ নামে ছিল। এবং এই ‘‘জয়া’’ গ্রন্থটিই ৮৮০০ শ্লোকের ছিল। তারপর জয়া থেকে সৃষ্টি হলো ‘‘ভারত সংহিতা’’। সেই সময়েই ৮৮০০ শ্লোক থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২৪০০০ শ্লোকে রূপান্তর হয়। এর বহুপর ভারত সংহিতা যখন ‘‘মহাভারত’’ এ পরিবর্তিত হয় তখন এর শ্লোক সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১ লক্ষতে পৌঁছায়।



পণ্ডিতদের মধ্যে অনেকেই বলে থাকেন বেদব্যাস ১৮ টি পুরাণ লিখেছিলেন পরে মহাভারত রচনা করেছিলেন।
কথাটি ঠিক নয়, কারণ বেদব্যাসের বাবা বিষ্ণুপুরান লিখেছিলেন আর ছেলে ভাগবত পুরাণ রচনা করেছিলেন। মাঝখানে বেদব্যাস লিখেছেন বায়ুপুরাণ। এছাড়া অন্য গুলো আদৌ বেদব্যাস ছিলে ছিলেন কিনা সন্দেহ রয়েছে। কারণ ভাষা এবং রচনাশৈলীতে অনেক পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। এমনকি একই ঘটনার মাঝেও আছে ভিন্নতা। অনেকেই বলে থাকেন এগুলো রূপক। কিন্তু এখানে একটি প্রশ্ন থেকে যায়। যদি রূপকই হয় তাহলে বেদব্যাস আরো অনেক চরিত্র কেন নির্মান করলেন না? একই চরিত্র দিয়ে একই বিষয় সমূহের বিভিন্ন পুরাণে বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ কেন হবে ?



খ্রীষ্টপূর্ব ২ শতক থেকে ষোড়শ শতক অবধি পুরাণের গল্প আর মহাভারতের গল্প একাকার হয়ে দেশের মানুষের মুখে মুখে ফিরত। আমরা জানি মূল মহাভারতে ১৮টি পর্ব আছে কিন্তু সংস্কৃত মহাভারতে ১৮ পর্ব ছাড়াও বেদব্যাস মহাভারত ও হরিবংশকে ১০০ ছোট ছোট পর্বে ভাগ করেছিলেন। হরিবংশে ২টি এবং মহাভারতে আটানব্বইটি । প্রথমটির নাম অনুক্রমণিকাপর্ব দ্বিতীয়টির নাম পর্বসংগ্ররপর্ব। এই দুটি পর্ব পড়লে মনে হবে মহাভারত অন্তত পাঁচবার সংস্কার হয়েছে। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ কতৃপক্ষ ৯৮৫ সালের কাশীরাম দাসের মহাভারতের পুঁথিটি হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয়কে দেখার জন্য বলেন, তখন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় সেই পুঁথি থেকে প্রথম কাশীদাসী মহাভারত ছাপার ভাবনা নিয়ে আলোচনা শুর করেন। ১৩৩৫ সালে শ্রীযুক্ত বিমলাচরণ লাহার অর্থানুকুল্যে হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সম্পাদনায় কাশীদাসী মহাভারত প্রকাশ পায়, দাম ছিল চার টাকা। যদিও ১৯৩২ সালে পূর্ণ চন্দ্র শীল একটি কাশীদাসী মহাভারত প্রকাশ করেছিলেন। তারও দাম ছিল সাড়ে চার টাকা।


সাকার উপাসনার কিছু রেফারেন্স

 নিরাকারবাদী এবং একদল বিধর্মীদের দাবি বেদাদি শাস্ত্রে প্রতিমা পূজা এবং সাকার উপাসনার উল্লেখ নেই। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বেদবিরুদ্ধ মূর্তিপূজা ক...

Popular Posts