Friday, March 24, 2023

শিব বলেন আমি ব্রহ্ম আবার বিষ্ণু বলেন আমি ব্রহ্ম তাহলে আসলে কে ব্রহ্ম?

 নমস্কার প্রিয় ব্লগ পাঠক/ পাঠিকাবৃন্দ। 

অনেক শৈব ভ্রাতা/ভগ্নিরা আজকাল প্রশ্ন করেন
" দাদা শিব বলেন আমি ব্রহ্ম আবার বিষ্ণু বলেন আমি ব্রহ্ম । তাহলে আসলে ব্রহ্ম কে?"

দ্বৈতবাদী কৃষ্ণ বা বিষ্ণু ভক্তদের আপনি যদি অদ্বৈত বুঝান এরা তা বুঝবে না। কারণ এঁদের মগজ ধোলাই খেয়ে গিয়ে অবুঝ হয়ে গেছে।  তাই এর উত্তর এঁদের দ্বৈতবাদের ভিত্তিতে দেয়াই সমীচীন


শিবের মায়ায় বিষ্ণু বলেন উনি আসলে ব্রহ্ম 

প্রথমে আসি অদ্বৈতভাবের অন্যতম গ্রন্থ  মহর্ষি সূতের সূত সংহিতার ১/৩/৪ এ। উত্তর ভারতে তা স্বতন্ত্র গ্রন্থ যদিও দক্ষিণের স্কন্ধ পুরাণে এই সূত সংহিতা পাওয়া যায়। 

তো আসুন সেখানে কি বলা আছে দেখি? 








এখানে বলা কি বলা হচ্ছে আসুন দেখে নেই। 

পুরা বিষ্ণুর্জগন্নাথঃ পুরাণঃ পুরুষোত্তমঃ।
মায়য়া মোহিতঃ সাক্ষাচ্ছিবস্য পরমাত্মনঃ।।

ভোগ এবং মোক্ষের জন্য কোন দেবতার পূজা করা উচিৎ? মানে এমন কোন দেবতা আছেন যিনি একাধারে ভোগ মোক্ষ আর ফলপ্রদ । তখন সূত মহারাজ উত্তরে বলছেন,

একবার ভগবান জগন্নাথ যিনি পুরাণ পুরুষোত্তম ( পুরাণ পুরুষদের মাঝে যিনি উত্তম) সাক্ষাৎ তিনি পর্জন্ত  পরমাত্মা শিবের মায়ার দ্বারা মোহিত হয়ে আমি জগত কর্তা , আমার মধ্যেই জগত আছে আমার দ্বারাই জগত স্থিতি হচ্ছে, আমার শক্তিরই সব বিলাস, আমার দ্বারা এই চরাচর সৃষ্টি ইত্যাদি করে গর্বে মত্ত হন এবং তিনি অন্যদের বলেন আমারই পূজা করো । শুধু জগন্নাথ দেব নন, অন্যান্য দেবতারাও মায়া মোহ দ্বারা মোহিত হয়ে যায় সেই সময় যখন এই দেবতারা মায়া দ্বারা মোহিত হয়ে যায় তখন নন্দিকেশ্বর ( শিবের প্রধান গণ) তিনি তাঁদের কাছে আসেন এবং তাঁদের শিবতত্ত্ব খুলে বলেন । 




একই কথা আবার শিব মহাপুরাণের শতরুদ্র সংহিতাও বলছে। কি ? 

১৫ থেকে ১৭ দেখুন। শ্রী ব্রহ্মাকে শ্রী নন্দীশ্বর বলছেন, 


" স্বয়ং শ্রী বিষ্ণুও যিনি কখনও কখনও রেগে যান তিনিও মায়া দ্বারা আক্রান্ত হয়ে যান। " 

১৭ তেও শ্রী সূত মহর্ষি যা বলেছেন তাঁর মিল পাচ্ছেন কিনা দেখুন? 

এখন, যারা মায়া দ্বারা মোহিত হয়ে বিষ্ণু বা কৃষ্ণের গুণকীর্তন করতঃ মহাদেব আর দেবী শক্তিকে ছোট বা নীচু দেখান, সমকক্ষ দেখাতে চান না এঁদের জন্য এই হল উত্তর। এখন আপনারা কি বলবেন? সূত মহর্ষি তামসিক? নাকি উনি মূর্খ? মহর্ষি মূর্খ  আর আপনারা এক একজন মহাজ্ঞানী? 

আমার মতে দুই এক আর সেই একই দুই। তাই বিভেদ কাম্য নয়। 

ইস্কন সহ দ্বৈতবাদীরা সনাতন সমাজের একতার পরিপন্থী। এঁদের বর্জন করুন। কারণ এরা শাস্ত্র নিন্দা এবং শাস্ত্র বাক্য বিকৃতি করে। 

শিবতত্ত্বে সৃষ্টি, সংহার ও রক্ষা – শ্রীকণ্ঠ ও পুরাণসমূহের আলোক

শৈব দর্শনে শিব কেবল একজন উপাস্য দেবতা নন—তিনি নিজেই সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান ও পরম ব্রহ্ম । তিনিই এই জগতের সৃষ্টি, স্থিতি ও সংহারের মূল কেন্দ্র...

Popular Posts