Friday, October 25, 2019

বাংলাদেশের ইস্কন কি আসলেই নিরীহ?

অনেকে বলছে, “ইসকন একটি নিরীহ সংগঠন, তারা নিরামিষ ভোজী, তাদের কাজ শুধু ধর্ম প্রচার করা। তাই ইসকন সম্পর্কে অপপ্রচার করা ঠিক নয়।”
যারা এ ধরনের কথা বলছেন, আমার মনে হয়, তারা হয় ইসকন সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন না, অথবা ইসকন সম্পর্কে তাদের অন্ধ বিশ্বাস আছে। আসলে এই ধরনের অন্ধবিশ্বাস অনেকেরই থাকতে পারে, তবে সেই অন্ধ বিশ্বাস দূর করা জরুরী।
বর্তমান কালে এরকম একটা আলোচিত ঘটনা হচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফজিলাতুনেছা ছাত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক বিথীকা বনিকের ফ্ল্যাটে তার ভাই ইসকন সদস্য শ্যামল বণিক কর্তৃক এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা ।
ঘটনা সংক্ষেপে- ঘটনার রাতে অধ্যাপক বিথীকা বণিক টিউশনি শেষে ইংরেজি বিভাগের ওই ছাত্রীকে রাতে তার সঙ্গে থাকার অনুরোধ করা হয়। তাই রাতে তিনি সেই নারী অধ্যাপকের সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমাতে যান। তাদের পাশের কক্ষে ছিলেন অধ্যাপকের দুই মেয়ে, আরেকটি কক্ষে ছিলেন তার ভাই শ্যামল বণিক। রাত দেড়টার দিকে হল থেকে ওই অধ্যাপকের কাছে ফোন যায়। হলের এক আবাসিক ছাত্রীর ঝামেলা হয়েছে, বিষয়টি মীমাংসা করানোর জন্য তিনি হলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।




প্রভোস্ট হলে যাবেন শুনে ওই ছাত্রীও তার সঙ্গে হলে ফিরতে চেয়েছিলেন। তিনি ওভাবে প্রভোস্টের বাসায় থাকতে চাননি। কিন্তু ওই প্রভোস্ট তাকে হলে আনেননি। রাত ৩টার দিকে বাসা থেকে অধ্যাপকের কাছে ফোন আসে যে, তার ভাই ঐ ছাত্রীকে ধর্ষণ করতে উদ্দত হয়েছে। সমস্যার কথা শুনে তাৎক্ষণিক তিনি বাসায় যান। গিয়ে পুরো ঘটনা শোনেন। এরই মধ্যে পুলিশ গিয়ে তার ভাইকে আটক করে এবং ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে।
(https://bit.ly/33PyUAQ)
এ ঘটনা নিয়ে কিন্তু রাবিতে অনেক আন্দোলন হয়েছে। (https://bit.ly/36092nJhttps://bit.ly/2o5FAM2)।
কিন্তু ঐ নারী অধ্যাপক তার ধর্ষক ভাইয়ের পক্ষে। অধ্যাপক বিথীকা বনিকের বক্তব্য হচ্ছে, তার ভাই ইসকন সদস্য, মাছ-মাংস, পেঁয়াজ-রসুন খায় না, তাই ১০০টা মেয়ে থাকলেও ফিরে তাকাবে না। (https://bit.ly/2JtDKfJ)
সে বরং এই ঘটনা ফাঁস করার জন্য মিডিয়া ও পুলিশকে দোষ দিয়েছে।
(https://bit.ly/33UYwwu)
এখন কথা হলো, ইসকন সদস্য হলেই যে নারীর প্রতি লিপ্সু হবে না, অনৈতিক কাজ করবে না, এর দলিল কোথায় ?
আপনাদের মনে থাকার কথা, ২০১৬ সালে সিলেট ইসকন মন্দিরে সাধারণ ইসকন সদস্যরা অনেক আন্দোলন করেছিলো ইসকন বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ও ইসকন সিলেটের (কাজলশাহ) অধ্যক্ষ নবদ্বীপ দ্বীজ গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ ছিলো দুটি-
১) ব্রহ্মচারী হওয়ার পরেও নারীদের তার অনৈতিক সম্পর্ক।
২) বিদেশ থেকে আসা কোটি টাকা লুটপাট
তথ্যসূত্র-
ক) সাধারণ ইসকন সদস্যদের মুখে ইসকনের শীর্ষ নেতার নারী অপকর্মের কথা শুনুন- https://youtu.be/pK2OclNTQUk
খ) নারীহীন ইসকন রাজ্যে নারী নিয়ে ঝড় - https://bit.ly/2MCIzVU
গ) যুগলটিলা ইসকন মন্দিরে অধ্যক্ষের অপকর্মের প্রতিবাদে মানববন্ধন-
https://bit.ly/2odS44u
ঘ) ইসকনের শীর্ষ নেতার কোটি টাকা লুটপাটের গোমর ফাঁস করায় ৩ সদস্য বহিষ্কার
(https://bit.ly/31EuknI)
ঙ) চোরাচালানকারী থেকে ইসকন বাংলাদেশের সহ সভাপতি-
(https://bit.ly/2W66U9v)
কথা হলো- যেখানে সারা বাংলাদেশের ইসকনের শীর্ষ দ্বিতীয় প্রধান কথিত ব্রহ্মচারী হওয়ার পরও একাধিক নারী কেলেঙ্কারীর সাথে জড়িত, অর্থ লুটপাটের সাথে জড়িত, সেখানে অধ্যাপক বিথীকা বণিকের ভাই শ্যামল বণিক ইসকন সদস্য হওয়ার কারণে কোন নারীকে ধর্ষণ করতে পারবে না, এটা তো হতে পারে না।

সাকার উপাসনার কিছু রেফারেন্স

 নিরাকারবাদী এবং একদল বিধর্মীদের দাবি বেদাদি শাস্ত্রে প্রতিমা পূজা এবং সাকার উপাসনার উল্লেখ নেই। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বেদবিরুদ্ধ মূর্তিপূজা ক...

Popular Posts