আমরা অনেকেই অভিশাপের নাম শুনি। অভিশাপের অনেক ক্ষমতা। আমাদের পুরান গুলিতে অভিশাপের অজস্র ঘটনা বর্তমান। সাধারণত বলা যায়--- কেউ ক্রুদ্ধ হয়ে, বা দুঃখিত হয়ে, বা লাঞ্ছিত হয়ে দোষীর সর্বনাশ কামনা করাই অভিশাপ।
অভিশাপ দুরকম -- একটা তান্ত্রিক অভিশাপ অপরটি দৈবিক অভিশাপ। দুই অভিশাপেরই ক্ষমতা সমান।
তান্ত্রিক অভিশাপ হল -- পূর্বেই দোষীকে শাপ দিয়ে পড়ে তন্ত্র দ্বারা নানান পূজা করে দোষীর অমঙ্গল ঘটনো হয়। দৈবিক অভিশাপ হল ত্রিদেব, সূর্য, চন্দ্র, দেবতা, গঙ্গা যমুনা কে সাক্ষী করে অভিশাপ দেওয়া।
অভিশাপ দিতে হলে খুব তপঃ শক্তি লাগে। কারন এতে অনেক তপঃ শক্তি নষ্ট হয়। আবার সব সময় এমন যুক্তি খাটেও না। অনেক সময় শয়তান লোকের অভিশাপ লেগে যায়। আসলে ব্যাপার টা হল এমন- আমি একটা বিশাল পাথর ছুড়ে কাউকে মারতে চাই, তাহলে আগে আমাকে সেই বিশাল পাথর তোলার শক্তি অর্জন করতে হবে। একটা পাঁচ বছরের শিশু নিশ্চয়ই বিশাল পাথর তুলতে পারবে না। ঠিক তেমনই তপঃ শক্তি না হলে শাপ দেওয়া যায় না।
সাধারণত তেজস্বী ব্রাহ্মণ, সাধু, সন্ত, বিধবা নারী, লাঞ্ছিতা কন্যা --- এদের অভিশাপ ভয়ানক রূপে প্রতিফলিত হয়, অনেক সময় দোষীর সাথে নির্দোষীরাও শিকার হয়। পুরানে দেবযানীর অভিশাপ, ভীস্মকে অম্বার অভিশাপ, সীতার রাবণকে অভিশাপ, পার্বতীর অগ্নি দেবতা কে অভিশাপ, নারদ মুনি যে দুজন কে শাপ দিয়েছিল তারা গাছ হয়ে জন্মেছিল, নন্দী দ্বারা দক্ষকে অভিশাপ, দক্ষ দ্বারা চন্দ্রকে অভিশাপ, দুর্বাসা দ্বারা ইন্দ্রকে অভিশাপ, গণেশ দ্বারা চন্দ্রকে অভিশাপ – এমন অজস্র অভিশাপ এর ঘটনা পুরানে দেখা যায়। অভিশাপ থেকে ভগবান ও রেহাই পান না। মন্দাদোরীর অভিশাপ ভগবান রাম মাথা পেতে নিয়েছিলেন। গান্ধারীর অভিশাপ ভগবান কৃষ্ণ মাথা পেতে নিয়েছিলেন।
কিছু অভিশাপ এমন হয় বংশ পরম্পরা ধরে চলে। যেমন প্রাচীন কালে রাজা, জমিদার রা অনেক নিরীহ লোকের ক্ষতি করতেন। এমনকি নারীদের মান সম্মান হানি করতেন। তাঁদের অভিশাপে রাজারা নির্বংশ বা কোন প্রতিবন্ধকের শিকার হতেন। রাজবংশের অভিশাপ বংশ পরম্পরা ধরে চলে। মা কামাখ্যার অভিশাপে এখনও কোচবংশীয়রা কামাখ্যা মন্দিরে যেতে পারেন না।
অভিশাপ থেকে বাঁচার উপায়? সর্বদা সাধু, সন্ত, যোগী দের সম্মান করতে হবে। নিজেও শান্তিতে থাকবো --- অপরকে শান্তিতে থাকতে দেবো --- এই নীতি নিতে হবে। কখনো কারোর সাথে দুর্ব্যবহার করা চলবে না। করলেও সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। পুরান বলে একটা দিনে ব্রহ্ম কাল, কাল বেলা, রাক্ষসী বেলা ইত্যাদি থাকে।
গ্রহ নক্ষত্রের যোগে কারোর কারোর নাকি বিশেষ সময়ে জিহ্বা তে মা সরস্বতী অধিষ্ঠান করেন। সেই জন্য সব সময় মুখ দিয়ে সবার মঙ্গল কামনা করতে হবে। কাউকে কটু কথা বলা যাবে না। আর ক্ষমা করতে শিখতে হবে। ক্ষমা মহৎ গুন।
অভিশাপ দুরকম -- একটা তান্ত্রিক অভিশাপ অপরটি দৈবিক অভিশাপ। দুই অভিশাপেরই ক্ষমতা সমান।
তান্ত্রিক অভিশাপ হল -- পূর্বেই দোষীকে শাপ দিয়ে পড়ে তন্ত্র দ্বারা নানান পূজা করে দোষীর অমঙ্গল ঘটনো হয়। দৈবিক অভিশাপ হল ত্রিদেব, সূর্য, চন্দ্র, দেবতা, গঙ্গা যমুনা কে সাক্ষী করে অভিশাপ দেওয়া।
অভিশাপ দিতে হলে খুব তপঃ শক্তি লাগে। কারন এতে অনেক তপঃ শক্তি নষ্ট হয়। আবার সব সময় এমন যুক্তি খাটেও না। অনেক সময় শয়তান লোকের অভিশাপ লেগে যায়। আসলে ব্যাপার টা হল এমন- আমি একটা বিশাল পাথর ছুড়ে কাউকে মারতে চাই, তাহলে আগে আমাকে সেই বিশাল পাথর তোলার শক্তি অর্জন করতে হবে। একটা পাঁচ বছরের শিশু নিশ্চয়ই বিশাল পাথর তুলতে পারবে না। ঠিক তেমনই তপঃ শক্তি না হলে শাপ দেওয়া যায় না।
সাধারণত তেজস্বী ব্রাহ্মণ, সাধু, সন্ত, বিধবা নারী, লাঞ্ছিতা কন্যা --- এদের অভিশাপ ভয়ানক রূপে প্রতিফলিত হয়, অনেক সময় দোষীর সাথে নির্দোষীরাও শিকার হয়। পুরানে দেবযানীর অভিশাপ, ভীস্মকে অম্বার অভিশাপ, সীতার রাবণকে অভিশাপ, পার্বতীর অগ্নি দেবতা কে অভিশাপ, নারদ মুনি যে দুজন কে শাপ দিয়েছিল তারা গাছ হয়ে জন্মেছিল, নন্দী দ্বারা দক্ষকে অভিশাপ, দক্ষ দ্বারা চন্দ্রকে অভিশাপ, দুর্বাসা দ্বারা ইন্দ্রকে অভিশাপ, গণেশ দ্বারা চন্দ্রকে অভিশাপ – এমন অজস্র অভিশাপ এর ঘটনা পুরানে দেখা যায়। অভিশাপ থেকে ভগবান ও রেহাই পান না। মন্দাদোরীর অভিশাপ ভগবান রাম মাথা পেতে নিয়েছিলেন। গান্ধারীর অভিশাপ ভগবান কৃষ্ণ মাথা পেতে নিয়েছিলেন।
কিছু অভিশাপ এমন হয় বংশ পরম্পরা ধরে চলে। যেমন প্রাচীন কালে রাজা, জমিদার রা অনেক নিরীহ লোকের ক্ষতি করতেন। এমনকি নারীদের মান সম্মান হানি করতেন। তাঁদের অভিশাপে রাজারা নির্বংশ বা কোন প্রতিবন্ধকের শিকার হতেন। রাজবংশের অভিশাপ বংশ পরম্পরা ধরে চলে। মা কামাখ্যার অভিশাপে এখনও কোচবংশীয়রা কামাখ্যা মন্দিরে যেতে পারেন না।
অভিশাপ থেকে বাঁচার উপায়? সর্বদা সাধু, সন্ত, যোগী দের সম্মান করতে হবে। নিজেও শান্তিতে থাকবো --- অপরকে শান্তিতে থাকতে দেবো --- এই নীতি নিতে হবে। কখনো কারোর সাথে দুর্ব্যবহার করা চলবে না। করলেও সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। পুরান বলে একটা দিনে ব্রহ্ম কাল, কাল বেলা, রাক্ষসী বেলা ইত্যাদি থাকে।
গ্রহ নক্ষত্রের যোগে কারোর কারোর নাকি বিশেষ সময়ে জিহ্বা তে মা সরস্বতী অধিষ্ঠান করেন। সেই জন্য সব সময় মুখ দিয়ে সবার মঙ্গল কামনা করতে হবে। কাউকে কটু কথা বলা যাবে না। আর ক্ষমা করতে শিখতে হবে। ক্ষমা মহৎ গুন।